/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/01/RP60UYUrJPXOnjmoLXNS.jpg)
ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা, ফের একবার 'পর্দা ফাঁস' ইউনূসের
Bangladesh India Relation: চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত দখলের হুঙ্কার বাংলাদেশের! ভারত-পাক উত্তেজনার মধ্যেই 'বিস্ফোরক' মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির উত্তাপ বাড়িয়ে দিলেন ইউনূস ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, 'উত্তর-পূর্ব ভারত দখল করতে বাংলাদেশের উচিত চিনের সঙ্গে হাত মেলানো', আর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিপ্তে দু'দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে।
ইউনূস ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তা ফজলুর রহমান সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে ভারত বিরোধী মন্তব্য করে দু'দেশের সম্পর্ককে আরও তিক্ত করে তুলেছেন। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য দখলের হুঙ্কার ছুঁড়ে ভারতের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও তার এই বিতর্কিত মন্তব্য থেকে নিজেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখে ইউনূস সরকার শান্তি ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যদিও প্রাক্তন এই বাংলাদেশি সেনা কর্তার বিবৃতি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, প্রাক্তন মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বিতর্কিত মন্তব্য করে দু'দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, যদি ভারত পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত চিনের সাথে হাত মিলিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য দখল করা। আর এই মন্তব্যের পরই কূটনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন- মোদীজি উদ্বোধন করলে মন্দির, আর মমতা করলে মন্দির নয়?', দিলীপের মন্তব্যে সীমাহীন জল্পনা
তবে, শুক্রবার বাংলাদেশের ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "এই বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের নীতি বা অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে না। সরকার এ ধরনের কোনও বক্তব্য সমর্থন করে না।" পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রহমানকে ২০০৯ সালের বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করে।
এর আগে, গত মার্চে চিন সফরের সময়, ইউনূস একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত (সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন) এবং তারা কেবল বাংলাদেশের মাধ্যমেই সমুদ্রে প্রবেশাধিকার পেতে পারে। তিনি চিনকে বাংলাদেশের মাধ্যমে বিশ্বে তার পণ্য রপ্তানি করার আমন্ত্রণ জানান কারণ এই অঞ্চলে একমাত্র ঢাকাই "ভারত মহাসাগরের অভিভাবক"।
আরও পড়ুন - কলকাতায় একের পর অগ্নিকাণ্ডের জেরে শেষমেশ নড়ল টনক, কঠিন সিদ্ধান্ত পুরসভার
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের উপর নির্যাতন বহুগুণে বৃদ্ধি পায় এবং অভিযোগ ওঠে ইউনূস সরকারের মদতেই পদ্মাপাড়ে চলছে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা। তবে ইউনূস ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন সেনা কর্তার সাম্প্রতিক এই বিতর্কিত বক্তব্য বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে পারে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।