Female lawyer suffers miscarriage after being brutally beaten by man posing as police officer: পুলিশের কর্মী পরিচর দেওয়া ব্যক্তিকে ধীরে বাইক চালানোর কথা বলায় ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার হতে হয় অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আইনজীবী ও তাঁর স্বামীকে। মারধোরের জেরে ওই মহিলা আইনজীবীর গর্ভপাত পর্যন্ত হয়ে যায়। তারপরেও অভিযোগ না নিয়ে মহিলা আইনজীবীকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে দায় সারে বর্ধমান থানা। অন্যদিকে, হাসপাতালও পুলিশের কাছ থেকে লিখিত কিছু না পেলে চিকিৎসা করবে না বলে আইনজীবীকে ফিরিয়ে দেয়। এমন ঘটনার বিচার পেতে বুধবার কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের। এই সিদ্ধান্তের কথা বারের পক্ষ থেকে জেলা জজকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী সহ পুলিশ প্রশাসনের উপর মহলেও জানানো হয়েছে।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “মহিলা আইনজীবীকে মারধর করা হয়েছে। এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারই প্রতিবাদে আইনজীবীরা পেন ডাউন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" জেলা জজকে লেখা চিঠিতে বারের সম্পাদক সদন তা লিখেছেন, “বারের এক মহিলা সদস্যার উপর গত ১৫ মার্চ হামলা চালানো হয়। তাঁকে এবং পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়। মারধরে জড়িতের এক আত্মীয় পুলিশ অফিসার। সেই কারণে বর্ধমান থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। নানাভাবে থানা মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা করে। এমনকী তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। মারধরের ফলে মহিলা আইনজীবীর গর্ভপাত হয়ে যায়। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা বুধবার কোনও কাজ করবেন না। বিচার প্রক্রিয়াতেও অংশ নেবেন না।" চিঠি দেওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনে হুঁশিয়ারিও ওই চিঠিতে দিয়ে রাখা হয়েছে।
বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা আইনজীবী হোলির দিন বেলা দেড়টা নাগাদ জেলখানা মোড় হয়ে স্বামীর সঙ্গে বিজয়রাম হরিনারায়ণপুরে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। জেলখানা মোড়ের কাছে একটি বাইক তাঁদের বাইকটিকে ধাক্কা মারে। এনিয়ে অন্য বাইকটির চালককে আস্তে বাইক চালানোর জন্য তাঁরা পরামর্শ দেন। সেই সময় অপর একজন নিজেকে বর্ধমান জেলা পুলিশের কর্মী পরিচয় দিয়ে ওই মহিলা আইনজীবীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। রাস্তায় ফেলে মারধর করে বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: যাত্রী স্বার্থে আরও এক ধাপ! কলকাতা মেট্রোর দুরন্ত তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা
মহিলার স্বামীকেও মারধর করা হয়। তাঁদের 'দেখে নেওয়া'র হুমকি দেওয়া হয়। এনিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি। উল্টে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতালের কাগজ না পেলে অভিযোগ নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে গেলে সেখানেও পুলিশের দেওয়া কোনও নথি না পেলে চিকিৎসা করানো হবে না বলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি ওই আইনজীবীর। বাধ্য হয়ে নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা হয়। গর্ভাবস্থায় তাঁর উপর হামলার ঘটনার কথা বারবার বলার পরও পুলিস নিষ্ক্রিয় থেকেছে বলে অভিযোগ মহিলা আইনজীবীর।
আরও পড়ুন- Tarapith: তারাপীঠ মন্দিরে তুমুল অশান্তি, সেবায়েতদের একাংশের ক্ষোভের মুখে মহকুমাশাসক