Flower farming is main source of income for most of residents of Khirai in Panskura: মাসখানেক আগেই প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখেছিল শহর পাঁশকুড়া (Panskura)। ফুলের শহরের ভয়ানক রূপ দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে এবার সেজে উঠছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার ফুলের শহর ক্ষীরাই (Khirai)। দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে ফুলের চারা লাগানোর প্রস্তুতি। ফলে এ বছর ফুল ফুটতেও কিছুটা দেরি হবে বলে মত চাষিদের। শীত পড়লেই হিমেল হাওয়ার সাথে ফুলের সৌন্দর্য্যে মন মেতে ওঠে পর্যটকদের (Tourists)। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষীরাই তার সৌন্দর্যের পাখনা মেলতে শুরু করলে ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে বহুদূরান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান ক্ষীরাইতে। সূর্যাস্ত কিংবা সূর্যোদয়ের সোনালী আভার সাথে সাথে মৌমাছির গুঞ্জন যেন সৃষ্টি করে এক অপরূপ মেলবন্ধন।
পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের টাকা উপার্জনের অন্যতম পথ হল ফুল চাষ। এই ব্লকের ফুল পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যেও। রেল পথে পাঁশকুড়া স্টেশনের পরের স্টেশনই হল ক্ষীরাই। সেখান থেকে মিনিট খানেকের লাল মাটির মেঠো পথ দিয়ে হাঁটলেই যেন দেখা যাবে ফুলের স্বর্গরাজ্য। বিঘার পর বিঘা জায়গা জুড়ে সেজে উঠেছে লাল-নীল-সবুজের মেলা। অন্যান্য বছর সেপ্টেম্বরের শেষ কিংবা অক্টোবরের শুরুর দিকে লাগানো হয় ফুল গাছের চারা। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ফুল ফুটতে শুরু করে।
সেজে ওঠে গোটা এলাকা। কিন্তু চলতি বছরে একদিকে বন্যা এবং অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানিতে থমকে যায় স্রোত। তাই বর্তমানে নভেম্বর মাসে চলছে ফুল গাছ লাগানোর কাজ। এলাকার প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার চাষি এই কাজের যুক্ত। গোটা এলাকা থেকে এই সময় লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার হয় বলে মত এলাকার ফুল চাষি রঞ্জিত চক্রবর্তীর।
আরও পড়ুন- Purba Bardhaman News: ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেও হল না শেষ রক্ষা! মালিককে ঠকিয়ে শ্রীঘরে কর্মচারী
কেউ চাষ করছেন গাঁদা, কেউবা আবার চন্দ্রমল্লিকা, কেউ ডালিয়া, আবার কেউবা বিভিন্ন রঙের এস্টার। এই নিয়েই শীত পড়লেই সেজে ওঠে ক্ষীরাই। ইতিমধ্যে এই পর্যটন স্থলকে নিয়ে হোমস্টে চালু করেছে রাজ্য সরকার। আগামী দিনে এই এলাকায় পর্যটনের বিকাশে আরও একাধিক উদ্যোগ নিতে চলেছে সরকার।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: বাংলাদেশ যেন আতঙ্কপুরী! প্রাণভয় নিয়েও ওপারে ফেরার হুড়োহুড়ি সংখ্যালঘুদের
পাঁশকুড়া- ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায় বলেনন, “এবার দেরিতে হলেও পর্যটকদের জন্য সেজে উঠতে চলেছে ক্ষীরাই। ইতিমধ্যে আমাদের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ওই এলাকায় হোমস্টে শুরু করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হবে ক্ষীরাইকে কেন্দ্র করে। কিন্তু ওই এলাকার একাধিক জমি রেলের হওয়ায় রাজ্য সরকার থমকে যাচ্ছে।”
সারা বাংলা ফুল চাষী ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়েক বলেন, “বন্যা এবং একদিকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার ফলে এ বছর দেরিতে ফুল ফুটবে। এ বছর এখনও পর্যন্ত গাছ লাগানোর কাজ চলছে। তাই ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারির দিকে সেজে উঠবে ক্ষীরাই। ওই এলাকার চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের রুজি-রুটি এই ফুল চাষ থেকেই।”