/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/25/adhir-2025-09-25-17-35-23.jpg)
Adhir Chowdhury: প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী।
Adhir Chowdhury:আবারও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নিশানায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতায় জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ED-র রাডারে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই টাকার উৎস সম্পর্কে চন্দ্রনাথের তরফে সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি ইডি সূত্রের। তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানালেও শেষমেষ বিশেষ ইডি আদালত তা নাকচ করেছে। চন্দ্রনাথ সিনহাকে ডেকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, কিন্তু এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন কোনও পদক্ষেপ তাঁরা করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে আদালত।
এই ইস্যুতে এবার শাসকদলকে নিশানা করলেন প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাংর কথায়, "চন্দ্রনাথের ভয়ের কোনও কারণ নেই। তৃণমূলের প্রকৃত অপরাধীদের যদি শাস্তি দেওয়া যেতে, তাহলে তৃণমূল দলে নতুন করে চুরি, লুঠের প্রবণতা কমত। সেটা যখন কমেনি বা কমছে না, তবে এটা বুঝতে অসুবিধা নেই যে CBI বা ED কোনও প্রতিষেধক নয়। প্রতিষেধক একটাই, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া।"
গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কলকাতায় এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিরাট বিপর্যয় তৈরি হয়। এখনও বহু এলাকা থেকে জল নামেনি। রাজপথের পাশাপাশি এখনও জলের তলায় বহু অলি-গলিও। গত মঙ্গলবার কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল দেখেছে বাংলা। বেসরকারি মতে শুধু কলকাতা শহরেই জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭। লাগোয়া জেলাগুলি থেকেও জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই বিষয়টি নিয়েও রাজ্যকে নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরী। এরই পাশাপাশি তাঁর নিশানায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার CESC।
আরও পড়ুন-BJP:'মাস্টারস্ট্রোক' BJP-র! '২৬-এর ভোটে বাংলায় শমীক-শুভেন্দুদের 'অভিভাবক' হয়ে কারা আসছেন জানেন?
এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী এদিন বলেছেন, "বৃষ্টি হলে জল জমবে ঠিক আছে, কিন্তু এভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যুমিছিল, আমাদের সকলকে অবাক করে দিয়েছে। সরকারের ব্যর্থতাকে মানুষের সামনে প্রকাশ করেছে। এই CESC পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা করতে তৃণমূলকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দেয়। তাই পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের এক ধরনের রেট ও CESC-র রেট এক ধরনের। তৃণমূলকে ঘুষ দেওয়ার বিনিময়ে কলকাতার বুকে একচ্ছত্র রাজত্ব করছে সিইএসসি। কখনও দেখবেন না পশ্চিমবঙ্গ সরকার অন্য কোনও বিদ্যুৎ সংস্থাকে রাজ্যে সস্তায় বিদ্যুৎ দিতে টেন্ডার ডাকছে। একজনই দেবে সেটা সিইএসসি। সিইএসসি-র এলাকাও এখন বেড়েই চলেছে।"