গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিআইডির অতিরিক্ত ডাইরেক্টর জেনারেল পদে বহাল হয়েছিলেন কলকাতার বিদায়ী নগরপাল রাজীব কুমার। শুক্রবার রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর শীর্ষেও বসানো হল তাঁকে। এতেই শেষ নয়, ডিরেক্টরেট অফ ইকনমিক অফেন্সেস বিভাগের দায়িত্বও নেবেন তিনি, যে পদে এর আগে ছিলেন বিশাল গর্গ, যিনি বর্তমানে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার নিযুক্ত হয়েছেন।
নজিরবিহীনভাবে, এই প্রথম রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কোনও আইপিএস অফিসার সমান্তরাল ভাবে কলকাতা পুলিশের কোনও দায়িত্বে থাকছেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে এসটিএফ গঠিত হওয়ার পর রাজীব কুমারই প্রথম যুগ্ম কমিশনার হিসেবে ওই ফোর্সের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে এসটিএফ-এর ডেপুটি কমিশনার পদে বহাল রয়েছেন ২০০৫ ব্যাচের আইপিএস অফিসার মুরলীধর শর্মা।
নগরপালের পদ থেকে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই সরতে হতো রাজীব কুমারকে। কিন্তু গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর সরকারি বাসভবনে সিবিআই হানার পর থেকেই নিরন্তর প্রচারের আলোয় রয়েছেন ১৯৮৯ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার। সারদা চিট ফান্ড মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে টানা পাঁচদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে, তাঁর বাসভবনে সিবিআই হানার জেরে রাজ্যের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে দাবি করে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ সত্ত্বেও যে রাজীব কুুুমারের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে তা স্পষ্ট করেে দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গঠন করা হয়েছিল মূলত জঙ্গি দমনের জন্যই। রাজীব কুুমার কমিশনার থাকাকালীন জামাত-উল-মুজাহিদিন সমেত একাধিক জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় এসটিএফ।