Student Murder: আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে ক্রমশ জোরালো হয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবি। তা নিয়ে আন্দোলনও ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলা জুড়ে।
এমন আবহেই মঙ্গলবার দিনে-দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে চলন্ত বাসে নৃশংসভাবে খুন হল অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত এক ছাত্রী। ধারালো ছুরি চালিয়ে ছাত্রীর গলা কেটে দিয়ে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালায় যুবক। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কেতুগ্রামের কুমোরপুরে। সেই খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েই পুলিশ নেমে পড়ে খুনির সন্ধানে। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক ইজাজুল হক ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ছাত্রীর বাড়ি কাটোয়ায়। সেখানকার স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল সে। কেনাকাটা করতে মঙ্গলবার সকালে মেয়েটি তাঁর মাসি ও মাসতুতো ভাইয়ের সঙ্গে কেতুগ্রামের কাদরায় যায়। সেখানে কেনাকাটা হয়ে গেলে বাসে ফেরার জন্য উঠে পড়ে। অন্য যাত্রীদের কথা অনুযায়ী,
“বাসটি কুমোরপুর ছেড়ে কিছুটা যাওয়ার পর রেলগেটের কাছে পৌঁছোয়। ওই সময় এক যুবক হঠাৎতই ধারালো ছুরি বের করে ওই ছাত্রীটির গলায় চালিয়ে দেয়। ধারালো ছুরির আঘাতে ছাত্রীটির গলা ফালাফালা হয়ে যায়। বাসের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মেয়েটি।"
নিহত ছাত্রীর মাসি বলেন, "আমি খুনি যুবককে দেখতে পেয়েই তার হাত ধরে ফেলেছিলাম। কিন্তু ওই যুবক হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। ওই যুবককে আমি চিনতে পেরেছি।" অন্যদিকে, পুলিশ ছাত্রীর মৃতদেহ সহ বাসটি কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে যায়। বাসটি থেকে বিভিন্ন নমুনা পুলিশ সংগ্রহ করে। এরপর কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ছাত্রীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিশ খুনি যুবকের সন্ধানে নামে। তাতেই মেলে সফলতা । ঘটনাস্থলের কাছে পিঠের এলাকায় আত্মগোপন করেছিল 'খুনি' যুবক।
সেখান থেকেই পুলিশ ইজাজুল হক নামে অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করে। তবে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটি যুবক অন্য কোথায় সরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কাটোয়ার হরিপুর গ্রামে ধৃত যুবকের বাড়ি। কেন সে খুন করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে খুনের পিছনে প্রেমঘটিত কারণ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুন- Hilsa: টন টন মাছ উঠেছে গত কয়েকদিনেই! দারুণ সস্তায় সাধের ইলিশ আর দিন কয়েকেই?