Camel smuggling racket: এবার শিল্প শহর হলদিয়ায় উদ্ধার উট। হলদিয়ার সুতাহাটার দুর্বাবেড়িয়া থেকে ৭টি উট উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সুতাহাটা থানার দুর্বাবেড়িয়া এলাকায় বেশ কিছু উঠ নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই উট গুলি বিক্রি করা হবে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। একটি পশু সুরক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুতাহাটা থানার পুলিশ ওই এলাকা থেকে ৭টি উট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাজস্থান থেকে উটগুলিকে গোপনে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে গরমে উটগুলি যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য উটগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুতাহাটা ব্লক প্রাণি বিকাশ বিভাগকে। তাঁরা উটগুলিকে দেখাশোনা করছেন। সুতাহাটা থানার ওসি সৌমিত্র ঘোষ বলেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা উট গুলিকে উদ্ধার করি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। কোথা থেকে কারা, কেন উট গুলিকে নিয়ে এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ঈদের আগে হলদিয়া থেকেই বাংলাদেশে এই উটগুলি পাচারের ছক ছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কেউ মুখ খোলেননি। জানা গিয়েছে, ঈদের আগে বাংলাদেশের বাজারে মোটা টাকায় এই উটগুলি বিক্রি করার ছক ছিল। তবে পুলিশি তৎপরতায় এবার সেই ছক ভেস্তে গেল। উটগুলি কীভাবে কারা এনেছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখ-বর করা শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে পার্শ্ববর্তী থানাগুলির সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- Bangladeshi infiltrators arrested: ভেস্তে গেল বড়সড় 'প্ল্যান'? BSF-এর চোখে ধুলো দিয়েও শেষে পুলিশের জালে বাংলাদেশি
প্রতি বছরই কুরবানি ঈদের আগে এমন উট, দুম্বা পাচার করে আনার খবর পাওয়া যায়। কুরবানি ঈদের আগে বাংলাদেশের বাজারে গরু, মহিষ-সহ উটেরও বিপুল চাহিদা থাকে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু পাচারকারীরাও ওঁত পেতে থাকে এই কুরবানি ঈদের আগে বাংলাদেশে পশু পাচার করে মোটা টাকা কামানোর লক্ষ্যে। এবারও তেমনই কোনও ছক ছিল। তবে পশুপ্রেমী সংগঠন এবং পুলিশের তৎপরতায় আপাতত সেই ছক ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন- Sacked Teachres: 'ফের পরীক্ষায় বসব না, চাকরি ফেরাক সরকার', এবার সোচ্চার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষকরা