ধোপে টিকল না 'দাগি'দের হয়ে রাজ্য ও SSC-র সওয়াল। চিহ্নিত 'অযোগ্য' পাশে দাঁড়াতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ফের বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসি-র নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না চিহ্নিত 'অযোগ্য' চাকরিহারারা। শেষমেষ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ এই একই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই চিহ্নিত 'দাগি'রা এসএসসি-র নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফর্ম পূরণ করলে তা বাতিল বলে গণ্য করতে হবে। এদিন SSC-র নয়া নিয়োগ ইস্যুতে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের আগের সমস্ত নির্দেশই বহাল রেখেছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC। এসএসসি ও রাজ্য উভয়ই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত 'অযোগ্য'রাও যাতে অংশ নিতে পারেন সেই চেষ্টা আগাগোড়া করে যাচ্ছে। 'দাগি'দের পাশে দাঁড়িয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় দু'পক্ষ। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য রাজ্য সরকার এবং এসএসসির 'দাগি'দের পাশে দাঁড়িয়ে করা সওয়াল আগেই খারিজ করেছেন। সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে SSC-র নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছুতেই চিহ্নিত 'অযোগ্য'রা অংশ নিতে পারবেন না। এমনকী ইতিমধ্যেই যদি কোনও 'অযোগ্য' চাকরিহারা শিক্ষক বা শিক্ষিকা নতুন নিয়োগের ফর্ম ফিলাপ করে থাকেন তবে সেই ফর্ম বাতিল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশই পুরোপুরি বহাল রেখেছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, "রাজ্য সরকার ও SSC চাইছিল যাতে চিহ্নিত 'দাগি'রা নতুন নিয়োগে অংশ নিতে পারেন। তবে আজ ডিভিশন বেঞ্চ জানাল, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা বসতে পারবেন না। এরা প্রথম থেকেই দাগিদের পাশে ছিল। তারা বার্তা দিতে চাইছিল যে 'আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি'। এমনকী ওদের হয়ে আদালতে পর্যন্ত লড়েছে।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live updates: 'কোনও ভয় নেই, কাশ্মীরে যান', ওমর আব্দুল্লাহকে পাশে নিয়ে আবেদন মমতার
অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে সওয়াল করা আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সিঙ্গল বেঞ্চ যা বলেছে সেটাই ডিভিশন বেঞ্চ বহাল রেখেছে। আমরা আনাদের যুক্তি জানিয়েছিলাম। কোর্ট গ্রহণ করেনি। আমরা তো কোর্টের সমালোচনা করতে পারি না। আদালতের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। গতকাল পর্যন্ত অযোগ্য ১৮০ জন মাত্র আবেদন করেছিলেন। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ২০-২৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।"
আরও পড়ুন- Kolkata Metro:পাতালপথে নতুন ইতিহাসের সূচনা! মেট্রোর পরিধি আরও বাড়ছে, শুরু টানেলিংয়ের কাজ