High Court orders CID investigation into allegations of fraud in post office in Jamalpur: খোদ পোস্ট অফিস থেকেই আমানতকারীদের লক্ষ-লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এবার CID তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "লোকে খাটুনির টাকা জমা রাখতে যায়। আর তা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ কিছুই করছে না। পোস্ট অফিস থেকে এভাবে টাকা লোপাট হয়ে গেলে মানুষের ভরসা পোস্ট অফিস থেকে উঠে যাবে।"
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পোস্ট অফিসে টাকা রেখে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন রঞ্জিত পালের পরিবার। পোস্ট অফিস থেকে তাঁদের ১২ লক্ষেরও বেশি টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। ২০২১ সালে এক বছরের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে পাল পরিবারের সদস্যরা নিজেদের টাকা জমা করেছিলেন। সব মিলিয়ে জমা করা টাকার পরিমাণ ছিল ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
পরে একটি প্রয়োজনে সেই টাকা তুলতে গিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় হয় পাল পরিবারের সদস্যদের। জামালপুর পোস্ট অফিসের তৎকালীন পোস্টমাস্টার বিদ্যুৎ সুর ওই পরিবারকে জানান, পোস্ট অফিসে তাঁরা কোনও টাকা জমাই করেননি। দুর্ব্যবহার করে তাঁদের পোস্ট অফিস থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'ভোট দিলে লাড্ডু, ভোট না দিলে বঞ্চনা, কেন্দ্রের বাজেট ভাঁওতা,' ফের সোচ্চার অভিষেক
এই ঘটনার পরে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ পাল পরিবারের সদস্যদের। এরপর তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জামালপুরের সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের হাত থেকে ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে হস্তান্তর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সময় বিচারপতি বলেন, "গত দেড় বছরে জামালপুর থানা কিছু করেনি। এভাবে খোদ কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে যদি মানুষ প্রতারিত হন, তাহলে তাঁরা যাবেন কোথায়!"
আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: অভিষেকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, মেটা-কে নোটিশ আইনজীবীর
মামলাকারী সুরজিৎ পালের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "জামালপুর পোস্ট অফিসের মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেছেন, কোনও তদন্তই হয়নি। ২০২৩ সালে মামলা শুরু হয়। কোনও তদন্তই হয়নি। পোস্ট অফিসের কোনও আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি। জামালপর থানার তিনজন IO কোনও তদন্তই করেননি। উনি এই মামলা ডিআইজি সিআইডি-কে হস্তান্তর করেছেন। এক মাস অন্তর হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে হবে।"
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: আজ থেকে দু'দফায় মোট ৮ দিন বন্ধ মেট্রো, চূড়ান্ত যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা