ধোপে টিকল না কংগ্রসের আবেদন। হাইকোর্টে খারিজ হাত শিবিরের আর্জি। ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে আপত্তি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, আস্থা ভোটের জন্য বেশ কিছুটা সময় নিয়ে আদতে কাউন্সিলর 'কেনা'র ছক শাসকদলের। হাইকোর্টেই এব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ আর্জি জানিয়ে আবেদন করেন কংগ্রেস কাউন্সিলররা। যদিও এদিন উচ্চ আদালত কংগ্রেসের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
আগের ঘোষণা করা দিনেই আস্থা ভোট হবে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায়, এমনই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, গত পুরভোটে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় রাজ্যের শাসকদলের ৫ প্রতিনিধি জয়ী হন। এছাড়াও কংগ্রেসের ৫ এবং নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে জয়লাভ করেন আরও ২ জন। যদিও এরপরেই খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এরপরেই নির্দলদের সমর্থনে পুরবোর্ড গড়ে তৃণমূল। পরবর্তী সময়ে নিহত তপন কান্দুর ফাঁকা আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস। ফের কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: চরম অসন্তুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, SIT-এর তদন্তকারী বদলের হুঁশিয়ারি
যদিও সপ্তাহখানেক আগে ঝালদায় ফের রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। যে নির্দল কাউন্সিলররা তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছিলেন তাঁরাই নাকি এবার কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। ঝালদা পুরসভায় চূড়ান্ত ডামাডোল তৈরি হয়। এই আবহে পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর। তাঁরা একটি নোটিশও জারি করে দেন। পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে ভোটাভুটির দাবিতে সরব হয় কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের ধাক্কা সামলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ, DG-র নামে নালিশ ঠুকে শীর্ষ আদালতে যাবেন শুভেন্দু
পুরসভার চেয়রম্যানের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় কংগ্রেস। প্রথমে তিনি বিষয়টিতে আমল না দিলে পরে ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে ভোটাভুটি চেয়ে দরবার করেন কংগ্রেসের কাউন্সিলররা। ভাইস চেয়ারম্যান জানান, আগামী ২১ নভেম্বর ঝালদায় আস্থা ভোট হবে। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, এই সময়ের মধ্যে শাসকদলের নেতারা নির্দল ও অন্যদের ভাঙিয়ে দলে টানার চেষ্টা করবে। তাই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। যদিও তাদের সেই আর্জিতে সাড়া দিল না হাইকোর্ট।