/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/25/I0qb4ENQlmS8hLebUCJj.jpg)
হিমাচল ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
Himachal Pradesh Earthquake: হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে বুধবার (২০ আগস্ট) ভোররাতে ভূমিকম্পের জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪। আচমকা কম্পনে ঘুমিয়ে থাকা মানুষজন আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে সৌভাগ্যবশত, এই ভূমিকম্পে কোনও প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, টানা বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং ভূমিধসে এমনিতেই আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। তার উপর মাঝরাতে ভূমিকম্পের ধাক্কা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে ফের প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা। বুধবার ভোররাতে চম্বা জেলায় টানা দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৩, যেটির উৎস স্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে । কম্পনটি অনুভূত হয় ভোররাত ৩টা ২৭ মিনিটে। এরপর সকাল ৪টা ৩৯ মিনিট নাগাদ আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। দ্বিতীয় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০ এবং এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে হয়। যদিও দু’টি ভূমিকম্পেই কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর নেই।
এমনিতেই টানা বৃষ্টি ভূমিধসে জর্জরিত হিমাচল প্রদেশ। মেঘভাঙা, ভূমিধস আর আকস্মিক বন্যায় রাজ্যের একাধিক জেলা বিপর্যস্ত। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে হিমাচলে ৭৪টি আকস্মিক বন্যা, ৩৮টি মেঘভাঙা ও ৭২টি বড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এসব বিপর্যয়ে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৬ জন। এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। রাজ্যে বৃষ্টিজনিত দুর্যোগে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২,২১১ কোটি টাকা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩৫৭টি সড়কে বন্ধ ছিল যান চলাচল। এর মধ্যে মান্ডি জেলায় ১৭৯টি এবং কুল্লুতে ১০৫টি রাস্তা অচল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে জাতীয় সড়ক। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত হিমাচলের বিভিন্ন জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ২০ ও ২১ আগস্টের জন্য কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।