/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/19/pradip-2025-08-19-16-51-30.jpg)
The Bengal Files: 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' নিয়ে নিজের মতামত জানালেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' নিয়ে তোলপাড় বাংলা। প্রচারের শিরোনামে বিবেক অগ্নিহোত্রীর নয়া মুভি। তবে এই সিনেমা এতটা প্রচার পেতই না যদি তা বিরোধিতা করা হত। বাধা পাওয়ার ফলেই বেঙ্গল ফাইলসের প্রচার কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য। এরই পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, "ব্যক্তিগতভাবে গোপাল মুখোপাধ্যায় মানুষটা অন্যরকম ছিলেন। তাঁর গায়ে খুন খারাপির ছাপ লাগিয়ে দেওয়া হল। সিনেমার উদ্দেশ্যই যে এই রাজনীতি তাতে কোনও সন্দেহ নেই," বলছেন প্রাক্তন এই সাংসদ।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "এতে কোনও সন্দেহ নেই এই সিনেমার মধ্যে একটা পলিটিক্স আছে। কিন্তু আমি মনে করি পশ্চিমবঙ্গের লোক ভীষণ সংবেদনশীল এবং রাজনীতিতে অত্যন্ত অভিজ্ঞ। তাঁদের একটা সিনেমা প্রভাবিত করবে, এটা আমি একেবারেই বিশ্বাস করি না। বরং এটাকে বাধা দিতে গিয়ে জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেওয়া হল। এটা করার কোনও প্রযোজন ছিল না। কিছু লোক দেখতো, কিছু লোক দেখত না। জলে ভেসে যেত। অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাধা দিয়ে রাজনৈতিক দিক থেকে অপরিণামদর্শিতার পরিচয় দিল। বরং প্রচুর প্রচার বেড়ে গিয়েছে। বরং কাশ্মীর ফাইলে কিছু তথ্য ছিল।"
গোপাল মুখোপাধ্যায় 'গোপাল পাঁঠা' নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল রাজ্যের সফল মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিধানচন্দ্র রায়ের। প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "আমি শুনেছি বিধান রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালোই ছিল। কলকাতায় যখন দাঙ্গা চলছিল তখন সেই দাঙ্গাকে আটকানোর জন্য গোপাল মুখোপাধ্যায়ের বিশেষ ভূমিকা ছিল। তাঁর পাঠা ও খাসির মাংসের দোকান ছিল।"
তিনি আরও বলেন, "ব্যক্তিগতভাবে মানুষটা অন্যরকম ছিল। দোকানের মালিক ও সামাজিক মানুষের মধ্যে একটু তফাৎ ছিল। সেই তফাৎটা আজকের দিনের মানুষ গুলিয়ে ফেলে। গোপাল পাঠা, তিনি খুন-খারাপি করেছেন। এরকম একটা ছাপ তাঁর গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৪৬-৪৭ দাঙ্গার কাহিনী আমি যতদূর পড়েছি সেখানে কোথাও তিনি নরহত্যার কাজে লিপ্ত ছিলেন এমন তথ্য-প্রমাণ পাইনি।"
উল্লেখ্য, বলিউড পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য বেঙ্গল ফাইলস রিলিজের আগেই দারুণ চর্চায় উঠে এসেছে। ছবিতে গোপাল মুখার্জিকে অসম্মান করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের। এমনকী বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে থানায় FIR পর্যন্ত দায়ের করেছেন তাঁর পরিবার। গোপাল মুখার্জির নাতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "বিবেক অগ্নিহোত্রী ওই সিনেমাটা নিয়ে যে রিলসটি বানিয়েছেন, তাতে উনি বলছেন, 'কলকাত্তামে এক থা কসাই, উনকো মাড়োয়াড়ি লোগ নে পয়সা দিয়া, হাতিয়ার খরিদা..অর উনোনে মারা মুসলিম লোগোকো।' পাঁঠা মানে কাকে সম্বোধন করছেন উনি (বিবেক অগ্নিহোত্রী)? গোপাল মুখার্জি কি পাঁঠা? আমাদের পরিবারের তরফেই ওনার বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছে। আমরা সিনেমার ছবিতেও দেখলাম, অনেক অন্য কিছু দেখানো হয়েছে। ওনার ভাবমূর্তিই শুধু নয়, ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে।"