কোন্নগরের কানাইপুরে তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী খুনে এবার তিনজনকে গ্রেফতার ও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান ধৃত ও আটকদের বাইরেও আরও কয়েকজন নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে। দিন কয়েক আগেই হুগলির কোন্নগরের কানাইপুরে নিজের গ্যাস অফিস থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নৃশংসভাবে খুন হন তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী। নিহত ব্যক্তি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ।
ভয়াবহ ওই হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরেই এলাকার CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। খুনের আগে ও পরের কিছু সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। সেই মতো তদন্তের কাজ চালিয়ে নিয়ে গিয়ে আপাতত এই খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
CCTV ফুটেজে দেখা গেছে আগে থেকেই ব্যাগ হাতে ওই এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল দুই যুবক। কানাইপুরের অটো স্ট্যান্ডের কাছে পিন্টু চক্রবর্তী গ্যাসের অফিস রয়েছে। ওই দিন পিন্টু অফিস থেকে বেরিয়ে বাইকে উঠতেই পিছন থেকে এসে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে দুই দুষ্কৃতী।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates:নাগাড়ে বৃষ্টিতে খাল উপচে ঘরে জল, সেই জলেই ডুবে মৃত্যু ৫ মাসের শিশুকন্যার!
সামনে দাঁড়ানো কয়েকজন কার্যত কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে যান এমন ভয়াবহ ঘটনা দেখে। এলোপাথাড়ি পরপর ধারালো অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত হয়ে বাইক থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পিন্টু। তারপরেও নৃশংসভাবে তাকে কোপাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তৃণমূল নেতা তথা এই ব্যবসায়ীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন-Tejashwi Yadav:ভোটার তালিকায় নাম নেই খোদ বিরোধী দলনেতার! তোলপাড় ফেলা অভিযোগে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি
তবে ঠিক কী কারণে এই নৃশংস খুন? এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত অকাট্য কোনও কারণ বা তথ্য হাতে না এলেও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে জমি বিবাদ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ধৃত ও আটকদের দফায় দফায় জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।