পাঁচলা বাজারের এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে আলু, পটল ঝিঙে, লাউ, কুমড়ো। ফলদোকানি মহম্মদ আইনুলের মাথায় হাত। তাঁর গোটা দোকানটাই পুডিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তাঁর শত অনুরোধ কানেই তোলেনি উন্মত্ত যুবকের দল। হিংসার কথা বলতে গিয়ে তাঁর গলা যেন বুজে আসছে। তিনি বললেন, ''সব ফল পুড়ে গেছে। দোকান পুড়ে গেছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে তাড়া করল। দোকান ছেড়ে পালিয়ে গেলাম। অনেক লোক এসেছিল। পুলিশও পালিয়ে গিয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।''
পাঁচলা বাজারেই কাপড় ও বেডিংয়ের দোকান রেজাউল হকের। বিক্ষোভকারীরা তাঁর দোতলা বিল্ডিংটাতেই আগুন ধরিয়ে দেয়। বহু টাকার ক্ষয়ক্ষতিতে দিশেহারা ব্যবসায়ী রেজাউল। এদিন দুপুরেও নেমেনি তাঁর দোকানের সেই আগুন। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করে চলেছে। দোতলায় সেই আগুন ছড়িয়ে গেছে।
এক কথায় বিক্ষোভকারীরা যেন বধ্যভূমিতে পরিণত করে ফেলেছে গোটা পাঁচলাকে। দিকে-দিকে হিংসার ছবিটা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। পাঁচলা বাজার-সহ মেইন রাস্তার মোড়ের এলাকা কার্যত জনমানবশূন্য। তবে গ্রামের ভিতরের দিকে ইতি-উতি জটলা চোখে পড়ছে। দুষ্কৃতীরা পাঁচলা ঢোকার ঠিক মুখে নেতাজি সংঘে বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালিয়েছে।
পাঁচলা বাজার চত্বরে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারেও ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। বাজারের আরও একটি দোকানে এদিন দুপুরে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে। পাঁচলার পাশেই রঘুদেবপুরে বিজেপির একটি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। কার্যালয়ের পাশে থাকা একটি দোকানও আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে।