/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/10/family-files-police-complaintvictim-of-ragging-2025-08-10-08-45-57.jpg)
র্যাগিং সহ্য করতে পেরে চরম সিদ্ধান্ত? মেধাবী পড়ুয়ার মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্যের কালো মেঘ
PHD Scholar Death: কল্যাণীতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর)-এ ২৫ বছর বয়সী এক পিএইচডি গবেষকের আত্মহত্যার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত গবেষক অনমিত্র রায়ের পরিবারের দাবি, তিনি র্যাগিং-এর শিকার হয়েই এই চরম পথ বেছে নেন। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ উপেক্ষা করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনা হয়েছে পরিবারের তরফে। শনিবার পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। অনমিত্রকে ল্যাবরেটরির ভিতরে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁকে AIIMS কল্যাণীতে ভর্তি করা হয়, যেখানে শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। রাণাঘাট পুলিশ জেলার সুপারিনটেনডেন্ট আশীষ মৌর্য জানান, “মৃত ছাত্রের এক আত্মীয় অভিযোগ জানিয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, এবং ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
বিরাট বিপাকে হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক, নবান্ন অভিযানে পুলিশকে হুমকি কাণ্ডে FIR দায়ের
অনমিত্রর এক আত্মীয় ঋষিকেশ রায় বলেন, “তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টই সব বলে দিচ্ছে— কীভাবে তিনি র্যাগিং-এর শিকার হয়েছিলেন, এবং কর্তৃপক্ষ অভিযোগকে কোন গুরুত্বই দেয়নি। তাঁর মৃত্যুর পেছনে রয়েছে এক গভীর ষড়যন্ত্র । দোষীদের আমরা উপযুক্ত শাস্তি চাই।”
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে অনমিত্র লেখেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন, ছোটবেলা থেকেই আত্মহত্যার কথা ভাবতেন। তাঁর লেখা, “আমি এই দুনিয়ার জন্য তৈরি হইনি… আর পারছি না। হাল ছেড়ে দিলাম। জীবনে যে শান্তি পাইনি, মৃত্যুর পর যেন তা পাই।”
মন্দিরে ভয়াবহ আগুন, ঝলসে গেলেন ৭ পূণ্যার্থী, তুমুল চাঞ্চল্য
আইআইএসইআর কল্যাণীর এক মুখপাত্র শনিবার জানান, “ঘটনার তদন্তে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে র্যাগিং-এর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে, কারণ অনমিত্র গত আট বছর ধরে এখানে পড়াশোনা করছিলেন।সমস্ত তথ্য পুলিশকে দেওয়া হয়েছে এবং তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কমিটির রিপোর্টের পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হবে।”