/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/independence-day-2025-08-13-13-48-14.jpg)
শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয়,বিশ্বের এই দেশগুলিও স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল ১৫ অগাস্টেই!
Independence Day 2025: প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস উৎসাহ ও গর্বের সঙ্গে পালিত হয়। এবার দেশজুড়ে পালিত হতে চলেছে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটি ভারতের ইতিহাসের একটি সোনালী মুহূর্তের প্রতীক। যা আমাদের স্বাধীনতার মূল্য এবং গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়।
এই জেলাগুলিতে, স্বাধীনতা দিবস ১৫ই আগস্ট নয়, দুই দিন পরে পালিত হয়, কেন জানেন?
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ দাসত্ব থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিল্লির লাল কেল্লায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু তেরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন এবং তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। এই দিনটি ছিল ভারতের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা। স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব কেবল স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই দিনটি আমাদের ঐক্য, জাতীয় গর্ব এবং দেশের প্রতি কর্তব্যবোধকে শক্তিশালী করে। এই দিনে স্কুল, কলেজ এবং সরকারি অফিসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুচকাওয়াজ এবং দেশাত্মবোধক গানের আয়োজন করা হয়। এই দিনটি আমাদের গণতন্ত্র, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে।
স্বাধীনতার জন্য কেন ১৫ অগাস্টকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল? ৯৫ শতাংশ মানুষের কাছে আজও উত্তর অজানা
ভারতের স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অন্যতম গর্বের দিন। ২০২৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা উদযাপন করতে চলেছি দেশের ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে দীর্ঘ ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে। অসংখ্য সংগ্রামী মানুষের আত্মত্যাগ, সাহস এবং অবিচল মনোবল আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ।
১৫ই আগস্ট সকল ভারতবাসী দেশপ্রেমে মেতে ওঠেন। এই দিনেই ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভ করেছিল। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ১৫ই আগস্ট কেবল ভারতের স্বাধীনতা দিবস নয়, আরও ৪টি দেশের স্বাধীনতা দিবসও ১৫ই আগস্ট।
দেশের এই দুই প্রধানমন্ত্রী যাঁরা কখনও লাল কেল্লা থেকে তেরঙ্গা উত্তোলন করেননি, কারণ জানলে অবাক হবেন
বাহরিন- দিলমুন সভ্যতার প্রাচীন ভূমি মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ। এরাও ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৫ আগস্ট। ১৯৭১ সালে এই দিনে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপে ব্রিটিশ উপনিবেশের পতন ঘটে। এবছর তাদের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। যদিও জাতীয় দিবস হিসাবে ১৬ ডিসেম্বর দিনটি পালিত হয় বাহরিনে। প্রাক্তন সুলতান ইসা বিন সলমন আল খালিফা সিংহাসনে বসেছিলেন ওই দিন। ইতিহাস অনুযায়ী, এই দ্বীপপুঞ্জ বহু শাসকের অধীনে ছিল। আরব থেকে পর্তুগিজ, তারপর ১৯ শতকে ব্রিটিশদের পরাধীন হয় বাহরিন।
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো- ভারত ছাড়াও ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয় মধ্য আফ্রিকার এই দেশ। ১৯৬০ সালে ফরাসি উপনিবেশের পতন হয়। ১৮৮০ সালে ফরাসি শাসন শুরু হয় এই দেশে। সাবেক নাম ছিল ফ্রেঞ্চ কঙ্গো। ১৯০৩ সালে নাম হয় মধ্য কঙ্গো। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ফুলবার্ট ইউলৌ রাষ্ট্রপতি হিসাব শাসন করেন দেশ।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া- প্রতি বছর ১৫ আগস্ট জাপান বিজয় দিবস বা জাতীয় স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। ওই দিনে দুই দেশেই সরকারি ছুটি কারণ, মার্কিন ও সোভিয়েত বাহিনী দশকের বেশি সময় কাল ধরে থাকা জাপানি দখল শেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। ১৯৪৫ সালে ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান মার্কিন ও সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করায় জাপানি উপনিবেশের পতন হয় কোরিয়ায়। তারপর তিন বছর পর সোভিয়েত সমর্থিত উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন সমর্থিত দক্ষিণ কোরিয়া জন্ম নেয়।
লিচেনস্টাইন- বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র দেশ, জার্মানদের হাত থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল ১৮৬৬ সালে। তারপর ১৯৪০ সাল থেকে ১৫ আগস্ট দিনটি জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করে তারা। ওই বছরই ৫ আগস্ট লিচেনস্টাইন সরকার সরকারিভাবে ১৫ আগস্ট দিনটি জাতীয় দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। তবে অনেকেরই অজানা, ১৬ আগস্ট দেশের রাজকুমার প্রিন্স দ্বিতীয় ফ্রাঞ্জ-জোসেফের জন্মদিন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৮৯ সালে মৃত্যু পর্যন্ত লিচেনস্টাইনের রাজকুমার ছিলেন তিনি।