Census of India: ২০২৭ সালে হবে জনগণনা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি, ৯৪ বছর পর হবে জাতি-ভিত্তিক সমীক্ষাও।
২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দেশের পরবর্তী জনগণনা। সোমবার (১৬ জুন) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এক গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের পরবর্তী জনগণনা কার্যক্রম ২০২৭ সালে পরিচালিত হবে।
২০১১ সালের পরে এই প্রথমবার জনগণনা হতে চলেছে ভারতে। সোমবার (১৬ জুন) সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৭ সালের জনগণনার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হবে পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে, যেখানে ব্যবহার হবে মোবাইল অ্যাপ ও রিয়েল-টাইম মনিটরিং প্রযুক্তি।
সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী, আপ্লুত মোদী, বললেন, 'এটা ১৪০ কোটি ভারতীয়'র সম্মান'
জনগণনার কাজ সম্পন্ন হবে দুটি ধাপে:
- প্রথম ধাপ: ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের তুষারাবৃত এলাকায়।
- দ্বিতীয় ধাপ: ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশের বাকি অংশে শুরু হবে।
৯৪ বছর পর জাতি ভিত্তিক জনগণনা
এই জনগণনা হবে স্বাধীন ভারতের অষ্টম এবং দেশের মোট ১৬তম জনগণনা। ২০১১ সালের পর এই প্রথমবার হবে সর্বভারতীয় জনগণনা এবং বিশেষ বিষয় হল, ১৯৩১ সালের পর এই প্রথমবার জাতি-ভিত্তিক গণনাও করা হবে।
দুটি ধাপে চলবে পুরো প্রক্রিয়া
কেন্দ্র জানিয়েছে, দুটি ধাপে হবে এই জনগণনা। প্রথম ধাপে (Houselisting Operation) প্রতিটি পরিবারের ঘরের ধরন, সম্পত্তি এবং সুযোগ-সুবিধার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে (Population Enumeration) প্রতিটি সদস্যের জনসংখ্যা, সামাজিক-আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও জাতিগত তথ্য নেওয়া হবে। প্রস্তুতি পর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে রবিবার পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্রক্রিয়াটি হবে ডিজিটাল মাধ্যমে।
৩৪ লক্ষের বেশি কর্মী নিয়োগ
এই বিশাল কর্মকান্ডে ৩৪ লক্ষ গণনাকারী ও সুপারভাইজার এবং প্রায় ১.৩ লক্ষ সেনসাস আধিকারিক যুক্ত থাকবেন। ডেটা সুরক্ষার ক্ষেত্রে কড়া নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ থেকে ডেটা সংরক্ষণ— সব ক্ষেত্রেই জোরদার সাইবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিষেকের পঞ্চবান! পহেলগাঁও হামলা ইস্যুতে কেন্দ্রকে তুলোধোনা তৃণমূল নেতার