Advertisment

India Bangladesh Tension : বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আগেই বেপরোয়া বাংলাদেশ, বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি

India Bangladesh Tension : উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে সোমবারই ঢাকা সফরে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। ঠিক তার আগেই বাংলাদেশের বিএনপি নেতা বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেওয়া হয় ভারত বিরোধী স্লোগান।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
India Bangladesh Tension

বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি

Advertisment

India Bangladesh Tension:  উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে সোমবারই ঢাকা সফরে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।  ঠিক তার আগেই বাংলাদেশের বিএনপি নেতা বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেওয়া হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। 

হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রতিবেশী দেশে হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর  হামলা অব্যাহত। ভাংচুর চালানো হচ্ছে মন্দিরে, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে। এনিয়ে ইতিমধ্যে ভারত বাংলাদেশের ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা রুখতে ইউনূস সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে ভারতের তরফে। এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই ৯ ডিসেম্বর ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকা সফর করবেন।

বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি দাবি করেছেন যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে জল-স্থল-আকাশপথে দিল্লিকে রুখতে প্রস্তুত। ঢাকায় ভারত-বিরোধী মিছিল থেকে বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা কলকাতা দখলের দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি করেন বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব। ঢাকায় প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মিছিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়েছে। 

ইসকনের উপর সরাসরি হামলার হুঁশিয়ারি, ভক্তদের কেটে ফেলার নিদান 

বাংলাদেশে মৌলবাদীদের নিশানায় ISKCON। এবার ইসকনকে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ করার হুমকি। সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে ধর্মীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার হুমকি বাংলাদেশি মৌলবাদীদের। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে প্রকাশ্যে ইউনূস সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে "ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে, অন্যথায় আমরা হাতে অস্ত্র তুলে নেব। তাদের কেটে ফেলব, এটি ধর্মীয় অনুশীলনের সময় নয়। এখন সময় ইসকনের সাথে লড়াই করার। ইসকনকে নিষিদ্ধ না করলে ইসকনের পন্ডিতদের একে একে মেরে ফেলুন"।

বাংলাদেশে আগস্টে গণ অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। সেদেশে বসবাসকারী হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাও বিগত কয়েকমাসে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রতিনিয়ত ভারত বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে, ভারত শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি আগামী সপ্তাহে ঢাকা সফর করবেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে মিশ্রি বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শ-কাঠামোর অধীনে একটি বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশে যাবেন। 

হিন্দু সন্ন্যাসী  চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে, বিদেশ মন্ত্রকের   মুখপাত্র বলেছেন যে ভারত এই মামলায় একটি ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত এবং স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া আশা করে। তিনি বলেন, “আমরা এর আগেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আমরা আমাদের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে বাংলাদেশে চলমান প্রাসঙ্গিক আইনি প্রক্রিয়াগুলি সুষ্ঠু, ন্যায়সঙ্গত এবং স্বচ্ছ পদ্ধতিতে অনুসরণ করা হবে”।

ভারত হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে

শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য  অবনতি ঘটে। প্রতিবেশী দেশটিতে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত হামলার বিষয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে।

ভারত গত সপ্তাহে বলেছিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সব সংখ্যালঘু মানুষের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে। হিন্দুদের বিরুদ্ধে  ক্রমবর্ধমান হামলার ঘটনা নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। উল্লেখ্য রাষ্ট্রদ্রোহিতারঅভিযোগে  গত মাসে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর থেকে  জেলবন্দী রয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।  

Bangladesh Crisis
Advertisment