/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/01/census-2027-2025-09-01-13-42-51.jpg)
প্রথমবারের মত 'ডিজিটাল আদমশুমারি'!
ডিজিটাল আদমসুমারির প্রস্তুতি! ১৪,৬১৮ কোটির বাজেট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। ২০২৭ সালেই হবে দেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০২৭ সালের আদমসুমারির জন্য ১৪,৬১৮ কোটি টাকার বাজেটের দাবি জানিয়েছে। এটি হতে চলেছে দেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। যেখানে ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে জাতপাত সম্পর্কিত তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। প্রক্রিয়াটি দুই ধাপে চলবে। প্রথম ধাপে গৃহের তালিকা তৈরির কাজ চলবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় ধাপে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে জনসংখ্যা গণনা।
'আপনার পুলিশ আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে, এসব কী করছেন?' মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা চাকরিহারা সুমন বিশ্বাসের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্ত ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল (RGI) সম্প্রতি অর্থ ব্যয় কমিটির (EFC) কাছে অনুমোদনের জন্য একটি নোট পাঠিয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর মন্ত্রক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পেশ করবে। সূত্র জানিয়েছে, এই প্রথমবার আদমশুমারিতে জাতপাত সম্পর্কিত তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। নাগরিকরা চাইলে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের তথ্য (Self Enumeration) জানানোর সুযোগও পাবেন।
৩৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগ
এই বিশাল প্রক্রিয়ার জন্য ৩৫ লক্ষেরও বেশি গণনাকারী ও তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করা হবে। যা ২০১১ সালের আদমশুমারির তুলনায় প্রায় ৩০% বেশি। ২০১১ সালে প্রায় ২৭ লক্ষ কর্মী এই কাজে যুক্ত ছিলেন। মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি (CCPA) ইতিমধ্যেই এই আদমশুমারিতে জাতপাত গণনার অনুমোদন দিয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের ৬ বছর বাদে হচ্ছে আদমসুমারি
প্রায় ছয় বছর আগেই আদমশুমারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ২০২১ সালের আদমশুমারি করোনা অতিমারির কারণে স্থগিত হয়ে যায়। ফলে এই প্রথমবার দশকের আদমশুমারি ছয় বছর পিছিয়ে ২০২৭ সালে হতে চলেছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটি। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের আদমশুমারিতে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১৪১ কোটি।
আর দেরি হলেই নেপালে পালানোর ছক? কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুনে বড়সড় গ্রেফতারি
স্বাধীনতার পর অষ্টম আদমসুমারি
১৮৭২ সাল থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি দশ বছর অন্তর আদমশুমারি হচ্ছে। এবার এটি হবে দেশের ১৬তম আদমশুমারি এবং স্বাধীনতার পর অষ্টম। এই আদমশুমারিতে দেশের গ্রাম, শহর এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে আবাসন পরিস্থিতি, সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ, ধর্ম, ভাষা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ, পাসপোর্ট-ভিসা এবং জন্মহার সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।