/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/09/cats-2025-10-09-14-10-16.jpg)
ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে ব্রিটেনের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই ঘোষণা মোদীর
ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে ব্রিটেনের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে দেখা করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার দু দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মুম্বইতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। স্টারমার মুম্বইতে সিইও ফোরাম এবং গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টের ষষ্ঠ সংস্করণে অংশগ্রহণ করবেন। বৈঠকে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে সোনা ছুঁলেই ছ্যাঁকা, কতটা দামি হল হলুদ ধাতু? জানলে চমকে যাবেন
প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্টারমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় উভয় নেতা “ভিশন ২০৩০” এর আওতায় ভারত-ব্রিটেনের সম্পর্ক জোরদার করার একাধিক উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, জুলাই মাসে স্বাক্ষরিত বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি (CETA) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং আমদানি খরচ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
বৈঠকে শিক্ষা খাতেও বড় সাফল্য অর্জন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ব্রিটেনের ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে নতুন ক্যাম্পাস খুলতে চলেছে, যার মধ্যে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুগ্রাম ক্যাম্পাস ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে। এই উদ্যোগ ভারত ও ব্রিটেনের শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা ও বিনিময়কে আরও শক্তিশালী করবে।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক পারস্পরিক সমৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, "ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত। আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের নতুন সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি।"
আরও পড়ুন-হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই হুঙ্কার, কী বললেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ?
বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের মতো মূল্যবোধের প্রতি পারস্পরিক আস্থা আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি। ব্রিটেন এবং ভারতের জনগণের জন্য আমরা একসঙ্গে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলব।” বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার মধ্যেও, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে এই ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আজকের বৈঠকে আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারত সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির জন্য সমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, আমরা সামুদ্রিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা খাত কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন-প্রাথমিকে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ, কলকাতা হাইকোর্টের মামলা দায়ের