PM Modi UK visit: বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্রিটেনের যুবরাজ তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই সময় ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে ঐতিহাসিক FTA চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস, দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।চুক্তি স্বাক্ষরের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী “ইউকে-ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩৫” নামে একটি নতুন কৌশলগত নথি প্রকাশ করেন, যা ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের রূপরেখা স্থির করবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বর্তমানে ২ দিনের সফরে ব্রিটেনে রয়েছেন। ব্রিটেনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরেই ওঠে 'মোদী-মোদী' স্লোগান। মোদীর এই সফরে দু'দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এই সফরের সময় ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি অর্থাৎ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ২৩ থেকে ২৪ জুলাই ব্রিটেন সফরে থাকবেন। এর পরে,তিনি ২৫ থেকে ২৬ জুলাই মালদ্বীপে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সাথে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, উদ্ভাবন এবং শিক্ষার মতো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি যুবরাজ তৃতীয় চার্লসের সাথেও দেখা করবেন।
ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষরের আগে, কংগ্রেস বৃহস্পতিবার বলেছে যে বিজয় মাল্য, নীরব মোদী এবং ললিত মোদীর মতো প্রতারকদের ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি প্রত্যার্পণ চুক্তির বাস্তবায়ন একান্ত প্রয়োজনীয়।
প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানান। আজই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ঐতিহাসিক ব্রিটেন-ভারত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি প্রতি বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২৫.৫ বিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধি করবে বলেই আশা। এই চুক্তির ফলে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে এক বিরাট প্রভাব বিস্তার করবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ভারতের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) কে 'ঐতিহাসিক জয়' হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে এই চুক্তির ফলে যেমন বাড়বে কর্মসংস্থান তেমনই অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারও ত্বরান্বিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী লন্ডনে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত। ভারতীয় পোশাকে উপস্থিত ছিলেন মহিলা এবং শিশুরা। সকলেই অপারেশন সিন্দুরের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্রিটেনের মাটিতে মোদী মোদী স্লোগান ওঠে। ভারত-ব্রিটেন এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য ব্রিটেনের বাজারে প্রবেশ আরও সহজতর হবে এবং একই সঙ্গে ব্রিটিশ হুইস্কি ও বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি আরও সস্তা হবে।