India-pakistan Tension: জল সংকটে নাস্তানবুদ পাকিস্তান। ভারতের কাছে সিন্ধু জল চ্যুক্তি পুনর্বিবেচনার আর্জি। একের পর এক চারটি চিঠি পাঠাল ইসলামাবাদ।
সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল ঘিরে জল সংকটে বাড়ছে উদ্বেগ। এবার এই পরিস্থিতিতে ভারতকে একের পর এক চিঠি পাঠাচ্ছে ইসলামাবাদ। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের জলের সংকট চরমে পৌঁছনোর পর জলচুক্তি পুনর্বহালের জন্য পাকিস্তানের তরফে চারটি চিঠি পাঠানো হয়েছে ভারতের কাছে।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যার ঘটনায় পাক যোগ সামনে আসতেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এর অধীনে ভারতের তরফে বাতিল করা হয় সিন্ধু জলচুক্তি। পাশাপাশি জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাব দেয় ভারতও।
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একের পর এক মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। ১০০-এর বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের তরফে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের পর উদ্বেগ জানিয়ে পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তজা ভারতের জলশক্তি মন্ত্রককে মোট ৪টি চিঠি পাঠিয়েছেন, যা পরবর্তী পর্যায়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকে (MEA) পাঠানো হয়েছে।
মোদীর কড়া বার্তা: "রক্ত ও জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না"
পাকিস্তানের উদ্দেশে এক কড়া বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন—"সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। রক্ত আর জলও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।" মোদীর এই এই মন্তব্যের পরই বোঝা যায়, সিন্ধু জলচুক্তি পুনর্বহাল হবে না, যতক্ষণ না পাকিস্তান সীমান্তপারে সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করে।
‘জল বোমা’ আতঙ্ক পাকিস্তানে
সিন্ধু নদীর জল পাকিস্তানের কৃষি, জলবিদ্যুৎ ও পানীয় জল সরবরাহের প্রধান উৎস। পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলিও এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।পাক সিনেটের তরফে সৈয়দ আলি জাফর বলেন—"এই জল সংকটই আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। এটি একটি 'ওয়াটার বোমা, যেটি অবিলম্বে নিষ্ক্রিয় না করলে পাকিস্তান ধ্বংসের দিকে চলে যাবে।" এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শান্তি আলোচনা শুরু করার বার্তা দিলেও, ভারত এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড়।