/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/19/mid-2025-08-19-14-53-04.jpg)
Book-friendly environment: শিক্ষানুরাগী মানুষজন এমন তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
যুগ বদলের সাথে বদলাচ্ছে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড। আধুনিক ব্যস্ততার চাপে বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। মোবাইলের সহজলভ্যতা ও বিনোদনের বহুমুখী সুযোগ বইয়ের প্রতি অনীহা বাড়িয়ে তুলছে আট থেকে আশি প্রায় সকলের মধ্যে। এর ফলেই জেলার গ্রন্থাগারগুলিতে পাঠক সংখ্যা কমছে দিন দিন।
এই পরিস্থিতিতে পাঠক টানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা গ্রন্থাগার। জেলার মোট ১১৮টি গ্রন্থাগারে উপযুক্ত পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও পাঠক সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবার সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিটি গ্রন্থাগারে পরিচালন কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন।
সম্প্রতি ২০২৫-২০২৮ মেয়াদের জন্য মহিষাদল রবীন্দ্র পাঠাগারের পরিচালন কমিটি গঠিত হয়েছে। আট সদস্যের এই কমিটি ইতিমধ্যেই পাঠক বাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে। পাঠাগারের সভাপতি দেবাশিস মাইতি ও সম্পাদক অরুন দিন্ডা জানান, “গ্রন্থাগারিক গৌরহরি দাস পাঠক টানতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা গণ কনভেনশনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মতামত নেব এবং পাঠক উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উদ্যোগী হব।”
জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক বিদ্যুৎ দাস বলেন, “জেলায় ১১৮টি গ্রন্থাগার রয়েছে। পাঠক বাড়াতে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি পাঠক উপযোগী বই রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা সেদিকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।”
আরও পড়ুন- টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার, ব্যাপক ধরপাকড়, টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের সরাল পুলিশ
দীর্ঘদিনের পাঠক শুভ্রারানী শী জানান, “গত ১০ বছর ধরে আমি নিয়মিত লাইব্রেরিতে যাই। এখনকার ছেলে-মেয়েরা মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমাদের মতো অনেকেই এখনও বই ছাড়া থাকতে পারেন না। তাই নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে গ্রন্থাগারমুখী করতে হবে।”
আরও পড়ুন- Baruipur Incident: বচসার জের, বউকে সঙ্গে নিয়ে ঘুষিতে বৃদ্ধা মায়ের মুখ ফাটাল 'গুণধর' ছেলে!
প্রাক্তন অধ্যাপক ও মহিষাদল রবীন্দ্র পাঠাগার পরিচালন কমিটির সদস্য হরিপদ মাইতি বলেন, “একসময় স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীদের লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়তে দেখা যেত। এখন আর সেই দৃশ্য দেখা যায় না। তাই দ্রুত পাঠকদের বই পড়ার আগ্রহ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।”