khamenei trump controversy: সম্প্রতি ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের পর এবার তীব্র বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের শীর্ষ নেতাকে ‘ভয়াবহ ও অপমানজনক মৃত্যুর হাত থেকে’ বাঁচিয়েছেন। এই মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “আমি জানতাম সে (খামেনি) কোথায় লুকিয়ে আছে। আমি ইজরায়েল কিংবা আমেরিকার সেনাবাহিনীকে তার জীবন নিতে দিইনি।” তিনি আরও দাবি করেন, ইরানকে ‘ধ্বংস করে দেওয়া’ হয়েছে এবং দেশটির তিনটি পারমাণবিক ঘাঁটিও ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরানের কড়া জবাব
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, “যদি ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে চান, তবে তাঁকে অপমানজনক ভাষা ও বাগাড়ম্বর বন্ধ করতে হবে।”
যুদ্ধবিরতির মাঝেই উত্তপ্ত সুর
ইজরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হলেও, আয়াতুল্লাহ খামেনি একটি বিজয় ভাষণে বলেন, “এই লড়াই ইরান- আমেরিকার গালে সপাটে চড় কষিয়েছে।” ট্রাম্প পাল্টা দাবি করেন, “তিনি (খামেনি) জানেন তাঁর বক্তব্য মিথ্যা, একজন ধর্মীয় নেতার এমন মিথ্যা বলা কাম্য নয়।”
পরমাণু প্রসঙ্গে ফের হুঁশিয়ারি
ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালায়, তবে আমেরিকা ফের হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না। এই মুহূর্তে ইরান আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছে। ট্রাম্প ন্যাটোর সম্মেলনে আশা প্রকাশ করলেও, তেহরান জানিয়েছে—তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়।