New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/03/sEpQdHXg91ON6FXMJX7R.jpg)
রাজ্যে চলল বুলডোজার, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হত তৃণমূল নেতার কার্যালয়, বিরাট অ্যাকশনে হতবম্ভ সকলে
TMC Leade Party Office Demolished: বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের মূল অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির কার্যালয় এবং ধৃতের ভাইয়ের একটি ক্লাব ঘর।
রাজ্যে চলল বুলডোজার, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হত তৃণমূল নেতার কার্যালয়, বিরাট অ্যাকশনে হতবম্ভ সকলে
TMC Leade Party Office Demolished: বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের মূল অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির কার্যালয় এবং ধৃতের ভাইয়ের একটি ক্লাব ঘর। শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে মালদা টাউন স্টেশন সংলগ্ন মূলত ২২ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলের জমি জবরদখল মুক্ত করতেই এই অভিযান শুরু করা হয়। এদিন আরপিএফ কর্মী এবং অফিসারদের বিশাল ফোর্স নিয়েই উচ্ছেদ অভিযান চালায় পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশন কর্তৃপক্ষ। আর অভিযানের শুরুতেই ২২ নম্বর ওয়ার্ডে রেলের জমিতে থাকা বাবলা সরকার খুনের মূল অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির একটি কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত দখলের হুঙ্কার বাংলাদেশের! বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিশ্বজুড়ে
এরপরই ধৃতের ভাই ধীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির আরও একটি ক্লাব ঘর ভেঙে জায়গা জবর দখল মুক্ত করে রেল। পাশাপাশি একইভাবে বাবলা সরকার খুনের আরেক অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজকের বাড়িটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই বাড়িটি রেল কলোনিতে বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ নিজের এলাকাতে নৃশংসভাবে খুন হন ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবলা সরকার। এই ঘটনা এখনও পর্যন্ত নয় জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
তার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ওই এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। দীর্ঘদিন ধরে মালদার ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়া এলাকায়, রেলের জায়গা দখল করে নিজের কার্যালয় তৈরি করেছিল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। ওই এলাকাতেই রয়েছে রেলের জায়গায় অবস্থিত তার ঘনিষ্ঠদের একটি ক্লাব। বাবলা সরকার খুনের ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করে এই জায়গা থেকেই খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার নদী থেকে
মালদা ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত একমাস আগেই রেলের জায়গা জবরদখল মুক্ত করতে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছিল। প্রায় ১০০'টির বেশি ঝুপড়ি, অস্থায়ী দোকান, ক্লাব ঘর রেলের জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়। এলাকা দখল মুক্ত করার নোটিস জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এদিন এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
ভিড় বাড়ছে দিঘার জগন্নাথ-ধামে, কতক্ষণ খোলা মন্দির? দর্শনে কী কী নিয়ম মানতেই হবে?
ইংরেজবাজার পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের কাউন্সিলর গৌতম দাস জানিয়েছেন, রেলের জায়গাগুলিতে যেখানে পরিত্যক্ত দোকান অথবা ঘর রয়েছে সেগুলি জবর দখল মুক্ত করা হোক। কিন্তু যারা ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে রেলের জায়গায় কোনরকমে ছোটখাটো ব্যবসা করে আসছেন, তাঁদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উঠানো উচিত নয়। এব্যাপারে আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অন্যায় ভাবে যদি ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয় তাহলে আগামীতে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। পূর্ব রেলের মালদার ডিআরএম মনিশ কুমার গুপ্তা জানিয়েছেন, রীতিমতো নোটিশ জারি করে রেলের জায়গা থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। আগামী দিনে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।