New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/30/E0autodewU2KnDS7K8e5.jpg)
Digha Jagannath Temple: দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ দেবের মন্দির।
Puri-Jagannath Temple: গত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরা উপস্থিত ছিলেন।
Digha Jagannath Temple: দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ দেবের মন্দির।
Odisha Govt: ওড়িশার পুরীর আদলেই বাংলার সৈকতনগরী দিঘায় তৈরি হয়েছে সুবিশাল জগন্নাথ দেবের মন্দির। অক্ষয় তৃতীয়ায় সেই মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরীর মন্দিরের যাবতীয় নিয়ম মেনেই দিঘায় এই জগন্নাথ ধামের পুজো থেকে শুরু করে অন্যান্য নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরা এসে এই কাজের সূচনা করেছেন। তবে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের 'জগন্নাথ ধাম' নামে তীব্র আপত্তি তুলেছে ওড়িশা সরকার। এব্যাপারে পুরীর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ওড়িশা সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে দিঘায় দ্বাদশ শতাব্দীর মন্দিরের একটি প্রতিরূপের উদ্বোধনের পর উদ্ভূত বিতর্কগুলি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাধীকে লেখা এক চিঠিতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন নবনির্মিত দিঘা মন্দিরের 'জগন্নাথ ধাম' নামকরণ, নতুন মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে পুরীর সেবায়েতদের অংশগ্রহণ এবং নবকলেবর রীতি-নীতির উদ্বৃত্ত পবিত্র নিম কাঠ ব্যবহার করে নতুন মন্দিরের জন্য প্রতিমা তৈরির বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।
এমনকী এই বিষয়গুলিকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলেও ওই চিঠিতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন। চিঠিতে বিষয়টিতে ওড়িশাবাসীর ভাবাবেগ জড়িত বলে লিখে পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেছেন, "জগন্নাথ সংস্কৃতি সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য ভক্ত এবং ৪.৫ কোটি ওড়িয়ার মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে।" তিনি পুরীর মন্দির প্রশাসনকে এই ব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার কথা বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওড়িশা সরকার দিঘার মন্দিরের 'ধাম' নামে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি এই নামটি পুরীর মূল মন্দিরের। বিজেপিশাসিত ওড়িশা সরকারের তরফে দিঘার মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতদের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। দিঘার মন্দিরের উদ্বোধনে অংশগ্রহণের জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হওয়া পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েত রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র জানিয়েছেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে দিঘার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
মন্দিরে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার পাথরের মূর্তি পূজা করা হত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভক্তরা। ঐতিহ্য অনুসারে, এই তিন দেবতার মূর্তি নিম কাঠের তৈরি হতে হবে। এই প্রসঙ্গে দাসমহাপাত্র বলেন, "পাথরের মূর্তিগুলি গত তিন মাস ধরে নতুন মন্দিরে ছিল এবং পূজা করা হচ্ছিল না। পুরীতে আমার তত্ত্বাবধানে নিম কাঠ দিয়ে মূর্তিগুলি তৈরি করা হয়েছিল। তারপর আমি মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য মূর্তিগুলি দিঘায় নিয়ে গিয়েছিলাম।" শাস্ত্রে, ভগবান জগন্নাথকে দারু ব্রহ্ম বলা হয়েছে, যেখানে দারু কাঠ এবং ব্রহ্মা অর্থ সর্বোচ্চ শক্তি।