The Jalpaiguri court sentenced the accused to death for murdering his wife and daughter: স্ত্রী ও ১৮ মাসের শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষীকে ফাঁসির সাজা দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের থার্ড কোর্টের বিচারক বিপ্লব রায়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নাগরাকাটার লুকসান চা বাগানের বাসিন্দা লাল সিং ওরাওঁ। পরে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে প্রাণে বেঁচে গেলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
পুলিশি তদন্তের পর গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর চার্জ গঠন করা হয়। এরপর মোট ১৩ জনের সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে লাল সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আজ বিচারক লাল সিংয়ের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে তাঁকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বলে জানান সরকারি আইনজীবী প্রসেনজিৎ দেব। জানা গিয়েছে, লাল সিং ওরাওঁ কোনও কাজ না করে সারাদিন মদের নেশায় ডুবে থাকত। মদের টাকা জোগাড়ের জন্য প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রী সখী ওরাওঁয়ের উপর শারীরিক অত্যাচার চালাত সে। এই কথা নিজের মাকে জানিয়েছিলেন সখী ওরাওঁ।
কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। ঘটনার দিন রাত ৩টা নাগাদ ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী সখী ওরাওঁ ও মেয়ে মমতা ওরাওঁকে কুড়ুলের কোপে খুন করে লাল সিং। নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। পাশের ঘর থেকে গোঙানির শব্দ শুনে বের হয়ে এসে সবটা দেখতে পান লাল সিং ওরাওঁয়ের দাদা পান্নালাল ওরাওঁ।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: চিকিৎসকের বাড়িতেই কোটি টাকার মাদক, STF-এর অতর্কিতে হানা, গ্রেফতার ২
তিনিই জখম লাল সিং ওরাওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে লাল সিং পুলিশের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা করে বাড়িতে ডাকাত পড়েছিল। কিন্তু পুলিশের তদন্তে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপরই ধৃতের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে লাল সিং ওরাওঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ঘটনার ২ বছরের আগেই বিচারক এই ঘটনায় ফাঁসির সাজা শোনালেন।
আরও পড়ুন- Chinmoykrishna Das: ফের চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন আর্জি খারিজ, বাংলাদেশ সরকারকে হলফনামা জমার নির্দেশ