বাঙালির আবার বেড়াতে যাওয়ার সময়-অসময় কী! সুযোগ পেলে দিন কয়েকের জন্য ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালির হদিশ মেলাই দুষ্কর। তবে অনেকেই ভিড় পছন্দ করেন না। স্ট্রেসফুল জীবন থেকে দিন কয়েকের আরাম নিতে অনেকেই অফবিট ডেস্টিনিশনে যেতে পছন্দ করেন। উত্তরবঙ্গের আনাচে-কানাচে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানকার নৈঃস্বর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মুহূর্তে আপনার যাবতীয় স্ট্রেস ভুলিয়ে দিতে পারে। এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি পর্যটন কেন্দ্রের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হল।
কর্মক্ষেত্রে দিন চারেকের ছুটি ম্যানেজে করে ঘুরে আসুন প্রকৃতির নিজের হাতে অসাধারণ এই এলাকা থেকে। ঝটিকা এই সফরের অনিন্দ্যসুন্দর অভিজ্ঞতা সারা জীবন আপনার স্মৃতির পাতায় উজ্বল হয়ে থাকবে। পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে তিন হাজার ফুট উঁচুতে রয়েছে পাহাড় ঘেরা ছোট্ট গ্রাম সামসিং। জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে পড়ে এই গ্রাম। জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিঙের সীমানাবর্তী এই গ্রামের অসাধারণ শোভা এককথায় অনবদ্য। এই এলাকার খুব কাছে রয়েছে পড়শি দেশ ভুটান। গ্রামের চারদিক ঘিরে রেখেছে পাহাড় আর তারই মাঝখান দিয়ে কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে ছোট্ট নদী।
আরও পড়ুন- বেড়ানোর ১৬ আনা আনন্দ এখানেই! কান পাতলেই শুনবেন জল-জঙ্গলের অদ্ভুত ফিসফিসানি!
প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য উত্তরবঙ্গের এই এলাকার জুড়ি মেলা ভার। সবুজে ঘেরা পাহাড়ি গ্রামের বুক চিরে বয়ে চলা মূর্তি নদীর জলের কলকল শব্দ দিনভর এই শোনা যায়। মূর্তির পাড়ে বসে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য দেখা যেন পরম সৌভাগ্যের। গোধূলি বেলায এই এলাকার নজরকাড়া প্রাকৃতিক শোভা মন ভুলিয়ে দেবে। সামসিং গ্রাম জুড়ে থাকা বিস্তৃত চা বাগানও পর্যটকদের নজর কাড়ে।
রোজকার জীবনের তুমুল ব্যস্ততা থেকে দিন কয়েকের আরাম নিতে বাংলার এই প্রন্ত হতে পারে আপনার পারফেক্ট চয়েজ। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের জন্যও এখানে রয়েছে ট্রেকিংয়ের ব্যবস্থা। বাটারফ্লাই ট্রেকিং, রডোডেনড্রন ফরেস্ট ট্রেকিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়। ক্রমইশ রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে উপরের দিকে উঠে আসছে জলপাইগুড়ির এই পাহাড়ি গ্রাম।
আরও পড়ুন- কোলাহলহীন অপূর্ব এই সমুদ্রতট মন কাড়বেই! কলকাতার কাছেই সাগড়পাড়ে অনাবিল আনন্দ
সামসিং গ্রামে কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে ট্রেন বা সড়কপথে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপিতে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছনো যাবে এই গ্রামে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই সামসিং গ্রাম।
আরও পডুন- শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশে প্রাণের আরাম, বাংলার অনিন্দ্যসুন্দর এই সাগরতট এককথায় অদ্বিতীয়!
সামসিং-এ কোথায় থাকবেন?
সামসিংয়ে থাকার জন্য রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের সামসিং ফরেস্ট রেস্ট হাউস আছে। এছাড়াও একাধিক হোম স্টে এবং হোটেলও আছে। সেগুলিতে থাকা-খাওয়ার খরচও নাগালের মধ্যেই। তবে আগে থেকে বুকিং করে আসাই ভালো।
আরও পড়ুন- কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সন্ধেয় ফিরুন, কোলাহলহীন নদীপাড়ে আরাম পাবে মন