Jyoti Malhotra espionage case: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে হরিয়ানা পুলিশের হেফাজতে জ্যোতি মালহোত্রার বাংলা যোগ ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। ISI-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা কলকাতাই নয়, উত্তর ২৪ পরগনার নদীয়া এবং ব্যারাকপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন বলেই জানা গিয়েছে। এসবের প্রেক্ষিপ্তে এখন তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরে বাংলার এক ট্রাভেল ব্লগার। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা । এবার এই ঘটনার তদন্তে উঠে এল নয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্ত সংস্থার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, জেরার মুখে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা তিন ISI এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় তিনি এতটুকুও অনুতপ্ত নন বলেই সূত্রের দাবি।
অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর অধীনে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে জ্যোতির বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় একেবারে 'শান্ত' থেকেছেন জ্যোতি। তার চোখে মুখে অনুশোচনার কোন ছাপ পর্যন্ত নেই বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার ঘনিষ্ঠ সূত্র। পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ স্বীকারের পরও তিনি তদন্তকারীদের বলেন, "আমার কোনও অনুশোচনা নেই।" তদন্তের সাথে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, "জ্যোতি মনে করেন তিনি কোনও ভুল করেননি। তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি যা করেছেন তা ন্যায্য।"
তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্তে জানতে পেরেছেন জ্যোতি তিনজন পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে তার কোনরকমের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এক সিনিয়র অফিসারের কথায়, "আমরা খতিয়ে দেখছি যে তার পহেলগাঁও ভ্রমণের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির কোনও যোগসূত্র ছিল কিনা অথবা সেই সময় কোনও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল বা অন্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল কিনা,"। বর্তমানে জ্যোতি পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছেন, জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ), গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি) এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল তাকে জেরা করছে। তদন্তকারীরা আরও তথ্যের জন্য তার ইলেকট্রনিক ডিভাইস, আর্থিক লেনদেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ট্রাভেল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখেছেন।