Kali Puja 2024: দেবী কালী মাতার হাতে থাকা খড়্গ ধোয়া জল অমৃত জ্ঞানে পান করলে নাকি দূর হয় সমস্ত ব্যাধি। এমনকী অমাবস্যার তিথিতে দেবী মাতার খড়্গের জল বাড়িতে এবং শরীরে ছিটালে নাকি সমস্ত অপশক্তির বিনাশ হয়। আজও এই বিশ্বাসে প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো মালদার ইংরেজবাজার শহরের বুড়ো কালি মাতার মন্দিরে ভিড় করেন অসংখ্য ভক্তেরা। বৈশাখ মাসের ফলহারিনি এবং কার্তিক মাসের অমাবস্যার এই দুই তিথিতে জাঁকজমক করে পূজিত হন ইংরেজবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা এলাকার বুড়ো কালি মাতা (Buro Kali Mata)।
ইংরেজবাজার শহরে পুরনো যত কালীমন্দির (Kali Temple) রয়েছে, তার মধ্যে বুড়ো কালী মন্দিরের পুজোকে ঘিরেই উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। নিশিরাত থেকে শুরু হয় পাঁঠা বলি, চলে ভোর পর্যন্ত। বুড়ো কালীমাতার মাহাত্ম্য বলে শেষ করা যাবে না, এমনই জানালেন এক ভক্ত। কালী মাতাকে মুগ ডালের নয়, ছোলার ডালের খিচুড়ি তৈরি করে ভোগ নিবেদন করা হয়।
কালীতলা এলাকার বুড়ো কালী মাতার এই মন্দিরটি বর্তমানে ভট্টাচার্য পরিবারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। কথিত আছে প্রায় ৪০০ বছর আগে ডাকাত সর্দারদের হাতেই এই কালি মাতার পুজো শুরু। বহু প্রাচীন কাল থেকেই এই দেবীর পুজো হচ্ছে বলেই মূলত বুড়ো কালি নাম হিসেবেই পরিচিত রয়েছে। প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার এছাড়াও অমাবস্যার তিথিতে দেবী কালী মায়ের হাতে থাকা খড়্গের ধোয়া জল চন্দ্রমৃত হিসেবে পান করলেই সেরে যায় সমস্ত ব্যাধি, এমনই বিশ্বাস আজও মানেন অসংখ্য ভক্তেরা। এছাড়াও অমাবস্যার তিথিতে বুড়ো কালী মাতার খড়্গের ধোয়া জল নিজের শরীরে অথবা বাড়িতে ছড়ালে সমস্ত শত্রুরও নাকি বিনাশ হয়।
আরও পড়ুন- Howrah Division: হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীরা সাবধান! বুধ-বৃহস্পতিতে ট্রেন ধরার আগে এখবর এখনই জানুন
বুড়ো কালীমাতার প্রধান সেবাইত প্রসূন ভট্টাচার্য বলেন, "প্রায় ৪০০ বছর আগেই ডাকাত সর্দারদের হাতেই গড়ে ওঠে বুড়ো কালীমাতার পুজো। সর্দারদের দল কোনও কাজে বেরনোর আগে পাঁঠা বলি দিয়ে কালী মাতাকে স্মরণ করতো। এরপর থেকেই নানা সূত্র ধরেই ভট্টাচার্য পরিবারের হাতে এই পুজোর দায়িত্ব এসে পড়ে। বুড়ো কালী মাতার মূর্তি ছিল মাটির। কিন্তু ১৯৮৭ সালে দেবীর পাথরের মূর্তি স্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। চার শতাব্দী আগে সর্দারদের হাতে পূজিত হওয়া ইংরেজবাজার শহরের চার বোনের মধ্যে বুড়ো কালী মাতা হচ্ছে বড় বোন।"