/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/18/nLim0kkIfSsdNJm0ZnV6.jpg)
প্রতীকী ছবি।
কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে BJP কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে অভিযুক্ত চার পুলিশ আধিকারিকের জামিন খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠালো আদালত। ২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে।
এই মামলায় শুক্রবার নারকেলডাঙা থানার প্রাক্তন ওসি, অ্যাডিশনাল ওসি এবং তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক সহ মোট চারজনের জামিন খারিজ করেছে আদালত। প্রত্যেকের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পরেই কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ওপর হামলা হয়। নৃশংস হামলায় তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে কলকাতার নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল। তবে পরবর্তী সময়ে এই মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা CBI-এর হাতে। তদন্তে নেমে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে সিবিআই।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়। বেলেঘাটার অভিজিৎ সরকারের নৃশংস হত্যা তারই এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎ কে। এমনকী তার অবলা পোষ্যদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি।… pic.twitter.com/awE6ZgPn8X
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) July 18, 2025
বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল-সহ আরও তৃণমূল কাউন্সিলরকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআই এই মামলার তদন্তে যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছে তাতে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষেরও নাম আছে। যদিও প্রত্যেকেই এই ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন। দিন কয়েক আগেই এই তিনজন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে।