katwa Rape: ভুট্টা খায়ানোর লোভ দেখিয়ে সাড়ে চার বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। পরিবার সূত্রে খবর শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নামে । ড্রোন উড়িয়ে খোঁজ চালিয়ে আত্মগোপন করে থাকা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
কীভাবে গ্রেফাতার?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , নির্যাতিতা শিশুকন্যার বাবা কলকাতায় একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। বাড়িতে রয়েছেন শিশুটির দাদু, ঠাকুমা,মা এবং আড়াই বছরের ভাই। নির্যাতিতার পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম চরণ মাঝি। অভিযুক্ত চরণ মাঝি দু'বার বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে নির্যাতিতার গ্রামের বাড়ির কাছে পিঠে ভাড়া বাড়িতে থাকে চরণ।
শিশুটির মা জানিয়েছেন, চরণ তাদের গ্রামে বছর খানেক ধরেই রয়েছে। সেই সুবাদে তাঁর শিশুকন্যা চরণ কে চেনে । 'তাকে দাদু' বলত। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শিশুটি চরণের কাছে ভুট্টা কিনতে গিয়েছিল। তখন চরণ ভুট্টা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুকনাটিকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। চরণের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তখন ওই বাড়িতেই পাশের একটি ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। অনেকক্ষণ ধরে মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় তার মা ও দাদু যখন বাইরে বেড়িয়ে খোঁজখবর নিতে বের হয়। তখনই শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
Nitish Kumar: নাড্ডার উপস্থিতিতে 'ক্ষমা' চাইলেন নীতীশ, 'লালু-রাবড়ি রাজকে' নিশানা
শিশু কন্যাটি তাঁর মা কে চরণের কুকীর্তির কথা জানায়। পাড়াপড়শিদের কয়েকজন অভিযুক্ত চরণের খোঁজখবর শুরু করেন। ততক্ষণে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। শিশুকন্যার মা অভিযুক্ত চরণের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু করে অভিযুক্তের সন্ধানে নামে পুলিশ ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহুল পাণ্ডে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান ,'শিশু কন্যাকে ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে শিশু কন্যার বাবা মা শুক্রবার কাটোয়া থানায় অভিযোগ জানান । তার পর পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধানে নামে । রাত পৌনে ১ টা নাগাদ পুলিশ খবর পায় বিকিহাট এলাকায় জোপ জঙ্গলে অভিযুক্ত চরণ লুকিয়ে আছে । তার পরেই ওই জায়গায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় । ওড়ানো হয় ড্রোন । ড্রেন ও সার্চ চাইট ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালিয়ে রাত প্রায় ১ টা নাগাদ একটি বাড়ির ছাদে লুকিয়ে থাকা চরণ মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে হাজির করালে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।