Khandaker Selim-Hooghly heritage collection: ছোটবেলা থেকেই সখ ছিল বাড়িতে একটি আস্ত মিউজিয়াম করার। কলকাতা মিউজিয়াম দেখার পর সেই শখ আরও চাগিয়ে ওঠে মনে। আসলে প্রতিটি পুরনো জিনিসের নিজস্ব এক ইতিহাস থাকে, যা শুধু সংগ্রাহকের নয়, সমগ্র জাতির জন্য একসময় অমূল্য হয়ে ওঠে। এমনই এক সংগ্রাহক হলেন পুরশুড়া থানার কেলেপাড়ার পীরতলার বাসিন্দা খন্দকার সেলিম।
বৃদ্ধ সেলিম সাহেব দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ১২ হাজারের বেশি দুষ্প্রাপ্য জিনিস সংগ্রহ করে বাড়িতে রেখেছেন। তাঁর বাড়ি যেন একটি ছোট্ট ইতিহাসের ভাণ্ডার, যেখানে স্থান পেয়েছে দেশ-বিদেশের কয়েন, ডাকটিকিট, রেল টিকিট, কলম, সুগন্ধি শিশি, ক্যামেরা, রেডিও, গ্রামোফোন, টিভি, ঘড়ি, এমনকী মুঘল আমলের কয়েন, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল, আমেরিকার কয়েন এবং ১০০-১৫০ বছরের পুরনো মাটির প্লেট পর্যন্ত।
তাঁর সংগ্রহে আছে অধুনালুপ্ত ব্রিটিশ যুগের মার্টিন রেলের টিকিটও। আসলে ছোটবেলা থেকেই তাঁর শখ ছিল এসব পুরনো জিনিস সংগ্রহ করা। ১৯৭৩ সালে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর কলকাতায় এক চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন সেলিম সাহেব। আর তখন থেকেই নানা প্রদর্শনী, বইমেলা থেকে পুরনো জিনিস সংগ্রহের নেশা বাড়তে থাকে। তাঁর সংগ্রহ এখন এক নতুন রূপে পরিণত হয়েছে, যার ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্য রয়েছে।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: মুর্শিদাবাদে আজ ঠাসা কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর, হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দিতে চান মমতা
করোনা মহামারীর সময় তাঁর ভাইজি ওয়াহিদা রহমান এই সংগ্রহশালার ওপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেন, যা জার্মানি, লন্ডন এবং অস্ট্রেলিয়ার মিউজিয়ামে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়েছিল। এখন গ্রামের মানুষও স্বপ্ন দেখছেন—একদিন সেলিম সাহেবের হাত ধরে গ্রামে গড়ে উঠবে একটি অমূল্য মিউজিয়াম যেখানে পুরনো ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সবার সামনে উঠে আসবে।
আরও পড়ুন- Sonarpur News: প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধেই সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, নেপথ্যে 'বিরাট ষড়যন্ত্র', পাল্টা দাবি
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। যাঁরা শুধুমাত্র শখের বশেই পুরনোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চান। পুরশুড়ার পীরতলার বাসিন্দা খন্দকার সেলিমও তাঁদেরই একজন। শুধুমাত্র শখের বশেই নিজের অজান্তেই তিনি গড়ে তুলেছেন এক অনন্য সাধারণ কীর্তি। অতীতের এই প্রাণবন্ত সব ভাণ্ডার সত্যিই অবাক করবেই! এত পুরনো সময়ের ডাকটিকিট, রেল টিকিট, কলম, ক্যামেরা, রেডিও, গ্রামোফোন, টিভি, ঘড়ির অভূতপূর্ব এই ভাণ্ডার সত্যিই এক বিস্ময়! এলাকার বাসিন্দারাও খন্দকার সেলিমের এই সংগ্রহ নিয়ে রীতিমতো গর্বিত।
আরও পড়ুন- Jagannath Dham: দিঘার মন্দিরের পাশে লেখা 'জগন্নাথ ধাম' সরানো হয়নি, 'গুজব ছড়ানোর চেষ্টা', মামলা রুজু পুলিশের