India-Pakistan Tenson: ভারত পাকিস্তানের উত্তেজনা আবহে এবার বিরাট সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। ১৫ মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল স্থগিতের বড় ঘোষণা। পাশাপাশি দেশের সবকটি বিমানবন্দরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকী কলকাতা বিমানবন্দরেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাতিল করা হয়েছে CISF জওয়ানদের ছুটি। যারা ছুটিতে ছিলেন তাদের তড়িঘড়ি কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে CISF জওয়ানের সংখ্যা বাড়িয়ে ১,৪০০ থেকে ১,৬০০ করা হয়েছে। কঠোর সিকিউরিটি প্রোটোকল সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে যানবাহন, যাত্রীদের লাগেজ পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি, যাত্রীদের উপর নজরদারির জন্য সাদা পোশাকে অফিসারের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে স্নিফার ডগ। ডোমেস্টিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে যাত্রীদের ২ ঘন্টা আগে, এবং আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে যাত্রীদের তিন ঘন্টা আগে প্রবেশের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সেকেন্ডারি ল্যাডার পয়েন্ট চেক (SLPC) সহ সিকিউরিটি প্রটোকল বাড়ানো হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আবহে দেশের সবকটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিল BCAS! সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরো (বিসিএএস) দেশজুড়ে সমস্ত বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দরগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কঠোর নির্দেশ জারি করেছে। যার অধীনে সমস্ত বিমানবন্দরে সমস্ত যাত্রীর সেকেন্ডারি ল্যাডার পয়েন্ট চেকিং (SLPC) করা হবে। টার্মিনাল ভবনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল স্থগিত করার ঘোষণা করেছে।
দিল্লির তরফে প্রাথমিকভাবে শনিবার ভোর ৫:২৯ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত প্রায় ২৫টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা করে। কিন্তু উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিমানবন্দরগুলির সাময়িক বন্ধের মেয়াদ কমপক্ষে ১৫ মে সকাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং তালিকায় আরও কয়েকটি বিমানবন্দর যুক্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলির মধ্যে রয়েছে শ্রীনগর, জম্মু , লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড় , আম্বালা, লুধিয়ানা , যোধপুর, বিকানের, জয়সলমের, উত্তরলাই, রাজকোট, ভুজ, জামনগর, ধর্মশালা, বাথিন্ডা, পাতিয়ালা, পাঠানকোট, শিমলা , কিষাণগড়, হিন্ডন, পোরবন্দর, মুন্দ্রা এবং কান্দলা সহ আরও অনেক বিমানবন্দর।
অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে "এই সময়ের মধ্যে এই বিমানবন্দরগুলিতে সমস্ত যাত্রীবাহী বিমান চলাচল স্থগিত থাকবে"। দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগো বিমানবন্দর বন্ধের কারণে প্রতিদিন ১৬৫টি বিমান বাতিলের কথা জানিয়েছে। শুক্রবার বেসামরিক বিমান চলাচল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের পর, বিমান সংস্থাগুলি যাত্রীদের বিমান বাতিলের বিষয়ে পরামর্শ জারি করেছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে টানটান উত্তেজনা আবহে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে সতর্কতা ও প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং গুজরাটসহ উত্তর ও পশ্চিম ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে পাকিস্তানের হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যগুলিতে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সীমান্তে টহল বাড়ানো, জরুরি পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ইতিমধ্যে সেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা। এক সরকারি কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসন বর্তমানে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (BSF) এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা।