Kolkata fire death toll: অক্ষয় তৃতীয়ার আগের রাতেই কলকাতার বড়বাজারের ঋতুরাজ হোটেলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির কাছে ঋতুরাজ হোটেলের বীভৎস অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, "
কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুক। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।"
গতকাল সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির কাছে ঋতুরাজ হোটেলে আচমকা আগুন লেগে যায়। ৬ তলা হোটেলের সর্বত্র ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। এছাড়াও উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও।
আরও পড়ুন- Kolkata hotel fire live Updtaes: বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের পরেই 'বিষাক্ত ধোঁয়া', দমবন্ধ হয়ে মৃত ১৩, তদন্তে SIT
কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে ঝড়ে গিয়েছে ১৪ টি প্রাণ। প্রথমে ওই হোটেলে ঢুকতেই বেশ বেগ পেতে হয়েছিল দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীদের। পরে হোটেলের চার এবং পাঁচতলার জানলা ভেঙে গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকেন তারা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রাণভয়ে কার্নিশ থেকে নিচে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পরে রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৩টে পর্যন্ত ওই হোটেলের ভেতর থেকে আরও ১৩ জনের নিথর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। যাদের মধ্যে দু'জন শিশু ছিল।
আরও পড়ুন- Kolkata Fire: কলকাতার বড়বাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, গ্যাস-চেম্বার হোটেল, মৃত্যু ১৪ জনের
এরা প্রত্যেকেরই হোটেলের মধ্যে প্রচন্ড ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের জেরে অসুস্থ ও আহতদের NRS, আরজি কর, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের সিট গঠন করা হয়েছে। কীভাবে এই বিপত্তি ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হবে। বুধবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন তারা। দুর্ঘটনায় মৃতদের ময়নাতদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। NRS,আরজি কর, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে।