/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/TsETZ4PCaffgIhA4XmAn.jpg)
Kasba Death Case: কসবা-কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩।
Kolkata Kasba Death Case, one more arrested: কসবার হালতুর পূর্বপল্লীতে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় এবার আরও একজন গ্রেফতার। মৃত দম্পতির সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সোমনাথ রায়ের মামা-মামিকে। এবার গ্রেফতার এক লোন এজেন্ট। ওই ব্যক্তিরও নাম সুইসাইড নোটে ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে।
ট্যাংরায় দে পরিবারের তিনজনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে রহস্যের আবহে কসবার হালতুতে ঠিক একই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পেশায় অটোচালক সোমনাথ রায় আর্থিক দেনায় জর্জরিত ছিলেন। একমাত্র ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। মাথার উপর বিপুল টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। এই দেনার দায় থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নেন সোমনাথ ও তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায়।
নিজেদের একমাত্র আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীলকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই আত্মঘাতী হয়েছেন। তার আগে দেওয়ালে পেন্সিলে সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন রায় দম্পতি। তারই ভিত্তিতে আগেই সোমনাথ রায়ের মামা-মামিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার গ্রেফতার এক লোন এজেন্টকে। ধৃতের নাম চঞ্চল মুখোপাধ্যায়।
লোন নিয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না সোমনাথ। তারই জেরে সোমনাথকে দফায়-দফায় চাপ সৃষ্টি করেছিলেন এই চঞ্চল মুখোপাধ্যায় নামে ব্যক্তি, এমনই দাবি করা হয়েছিল সেই সুইসাইড নোটে। পুলিশ সূত্র মারফত এমনই খবর মিলেছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চঞ্চল মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে কসবার হালতুতে একই পরিবারের তিন সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩।