Tangra Triple Murder Case: ট্যাংরা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দে বাড়ির ছোট ছেলে প্রসূন দে। প্রসূনই নিজের স্ত্রী, বৌদি ও মেয়েকে খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। গতকাল প্রসূন দে'কে সঙ্গে নিয়ে ট্যাংরার দে'বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। সেই পর্বেই গোটা ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন প্রসূন।
বুধবার ট্যাংরার অতুল শূর রোডের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। প্রসূনকে সঙ্গে নিয়েই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পুননির্মাণ করাতে গিয়েছিলেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন প্রসূন। বাড়িতে ঢুকে নিজের ১২ বছরের মেয়ের ঘরের সামনে গিয়ে কিছুক্ষণ থমকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এরপরেই তাঁর চোখ বেয়ে জল নেমে আসতে থাকে।
তারপর মেয়ে প্রিয়ম্বদার ঘরে ঢোকেন প্রসূন। কিছুক্ষণ মেয়ের বিছানার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। একে একে কীভাবে নিজের স্ত্রী, মেয়ে, বৌদিকে তিনি খুন করেছিলেন তা দেখিয়েছেন পুলিশ আধিকারিককে। পুলিশের সামনে আগেই সমস্ত দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি। এমনকী ভরা আদালতে দাঁড়িয়ে প্রসূন দে জানিয়েছিলেন তাঁর আর বাঁচার ইচ্ছা নেই। বিচারক বললেও নিজের জন্য আইনজীবীও নেননি তিনি।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:লন্ডন সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন মমতা
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্যাংরার অতুল শূর রোডের দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তিন মহিলার মৃতদেহ। আর্থিক দেনায় জর্জরিত হয়ে পরিবারের তিন সদস্যকে প্রসূন দে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন। খুনের পর ভাইপো এবং দাদার সঙ্গে তিনি নিজেও গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ইএম বাইপাস ধরে গিয়ে গাড়ি নিয়েই আত্মহত্যার পরিকল্পনার ছিল তাঁদের।
আরও পড়ুন- Shaktigarh Shootout: আবারও শক্তিগড়ে শুটআউট! পুলিশকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি