Kolkata law college rape case: ফের বোমা ফাটালেন কল্যাণ! কসবার আইন কলেজে ২৪ বছরের এক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্রর কলেজে "ক্যাজুয়াল স্টাফ" হিসাবে নিয়োগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানালেন, "নেতা নয়, কর্মীদের চাকরি দেওয়া উচিত ছিল।"
শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে কল্যাণ বলেন,"এটা আমার ব্যক্তিগত মত। পার্টির হয়ে বলছি না। এটা আমি সমর্থন করি না। কেন একজন নেতাকে চাকরি দিতে হবে? কর্মীরা কি ছিল না? নেতাও হবো, আবার চাকরিও নেবো — এটা ঠিক নয়।"
২৫ জুন কসবার আইন কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, যিনি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। অভিযোগ, কলেজে কার্যত তিনিই 'দাদাগিরি' চালাতেন। তা সত্ত্বেও কলেজ পরিচালন সমিতি তাঁকে 'ক্যাজুয়াল স্টাফ' হিসেবে নিয়োগ করে। এর আগেও কসবা কাণ্ডে বোমা ফাটিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও কল্যাণের মন্তব্যের পরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় 'কল্যাণের মন্তব্য তার "ব্যক্তিগত মতামত"। দল কোনভাবেই এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নয়।
কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে এর আগেও একাধিক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বন্ধু যদি বন্ধুকে ধর্ষণ করে, তাহলে নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত হবে?"এছাড়াও, তিনি প্রশ্ন তোলেন— স্কুল-কলেজে কি পুলিশ বসানো হবে? এই মন্তব্য ঘিরে দলের অন্দরেও চাপানউতোর শুরু হয়। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন,"মহুয়া হানিমুন সেরে ফিরে এসে এখন আমার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেছে। উনি একজন ৬৫ বছরের ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে এক ৪০ বছরের দাম্পত্য ভেঙেছেন। এতে ওই মহিলার কি ক্ষতি হয়নি?"তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল অস্বস্তিতে।