অবশেষে নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এনআরএসে আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্য কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিবহ মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধের পর পরিবহকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এদিকে, এনআরএসকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপে’র নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হবর্ষবর্ধন। সেই প্রেক্ষিতে পরিবহকে দেখতে মমতার হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থান বদলে শেষমেশ এনআরএসকাণ্ডে জট কাটতে চলেছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এনআরএসকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে আসছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পরিবহকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে গেলে সেই দাবি অনেকটাই পূরণ হবে বলে ধারনা।
আরও পড়ুন: এনআরএসকাণ্ডে তৃণমূলের জন্য ‘লজ্জিত’ ববি কন্যা
প্রসঙ্গত, পরিবহকে দেখতে হাসপাতালে যাওযার প্রসঙ্গে ক’দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘সব জায়গায় যে যাব তার কোনও মানে নেই। কোথায় যাব আর যাব না, সেটা কেউ আমায় গাইড করতে পারেন না’’। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে পরিবহকে হাসপাতালে দেখতে গেলে নিজের সেই অবস্থান থেকে এদিন মমতা পিছু হঠবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মমতা ফোন ধরেননি: রাজ্যপাল
উল্লেখ্য, গত ৫ দিন চলে অচলাবস্থা চলছে এনআরএসে। গত সোমবার রাতে মহম্মদ সৈয়দ নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এনআরএস চত্বর। জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে মৃত রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। মারধরে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। এ ঘটনায় জখম হন আরেক জুনিয়র চিকিৎসক যশ টেকওয়ানি। এ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি করে আসছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। ‘এনআরএসে মুখ্যমন্ত্রী না এলে আন্দোলন উঠবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ বিকেলে জুনিয়র ডাক্তারদের নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছেন মমতা।