বড়বাজারে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে মুকুল রায়ের বাড়িতে পৌঁছোল কলকাতা পুলিশ। দুর্নীতি মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ কলকাতা পুলিশের। দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাড়িতে এদিন সকালে পৌঁছেছে কলকাতা পুলিশের একটি দল।
মুকুলের বাড়িতে কলকাতা পুলিশ। ছবি: প্রেমনাথ পাণ্ডে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুন: মুকুলের বড় পরাজয়! হাসছেন অভিষেক
উল্লেখ্য, এক ব্যক্তির থেকে ৮০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন মমতা ঘনিষ্ঠ এই নেতার বিরুদ্ধে। এ মামলায় কয়েকদিন আগেই মুকুলকে নোটিস দেয় লালবাজার। পাশাপাশি ব্যাঙ্কশাল আদালতে মুকুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পাল্টা হিসেবে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল। বৃহস্পতিবারই মুকুলকে স্বস্তি দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। মুকুলের গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি মুকুলকে ১০ দিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে হাইকোর্ট। অর্থাৎ আগামী ১০ দিন গ্রেফতার করা যাবে না বিজেপি নেতাকে।তবে তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করতে মুকুলকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
পুলিশি নোটিস প্রসঙ্গে আগে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেছিলেন ‘‘আমাকে সাক্ষী হিসেবে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। ওদের চিঠি দিয়ে বলেছিলাম, আমি দিল্লিতে থাকি তো। তাই দিল্লিতে আসো, সহযোগিতা করব। এদিকে, এর আগে ব্যাঙ্কশাল আদালতে আমার নামে মামলা করে। দুটো জিনিস কীভাবে হয়!’’
আরও পড়ুন: ‘মুকুল রায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন’
কেন গ্রেফতারি পরোয়ানা?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-এর ৩১ জুলাই বড়বাজার থানায় প্রতারণা ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে একটা এফআইআর দায়ের হয়। এরপর একজন সরকারি কর্মীর কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই মামলার তদন্তের সময়েই মুকুল রায়ের নাম উঠে আসে বলে পুলিশের দাবি। এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ১৬০ ধারায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুল রায়কে নোটিস পাঠিয়ে তলব করে কলকাতা পুলিশ। তবে মুকুল রায় এখন দিল্লির বাসিন্দা। তিনি দিল্লিরই ভোটার। দিল্লিতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়ে দেন মুকুল রায়। এদিকে ২০১৮ সালের ওই নোটিস অনুযায়ী মুকুল রায় হাজির না দেওয়ায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আবেদন করে কলকাতা পুলিশ। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই মুখ্য নগরদায়রা বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।