/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/high-court-kolkata-2025-09-15-16-06-03.jpg)
জমা জলে মৃত্যুমিছিল, দায় ঠেলাঠেলি, 'ক্ষুব্ধ' কলকাতা হাইকোর্ট
নিম্নচাপের ভয়ঙ্কর প্রভাবে কার্যত মেঘ ভাঙা বৃষ্টি দেখেছে কলকাতা। তিলোত্তমা মহানগরীর দিকে দিকে জল। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও লাগোয়া জেলাগুলিতে জল-যন্ত্রণার বহু ছবি সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন-ইডি দফতরে হাজিরা রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রীর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিনভর জেরার সম্ভাবনা
এবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। CESC-এর কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কলকাতা পুরসভাকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে সরকারের অবস্থান জানাবে রাজ্য। আগামী ৭ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
টানা বৃষ্টিতে জমা জলে মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, " CESC-র অবহেলায় কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাঁরা মারা গেলেন, তাঁদের পরিবারের জন্য আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। মৃত্যুর কোনো ক্ষতিপূরণ হয়না, জীবনের কোন বিকল্প হয় না। তবুও আমরা প্রতি পরিবারের একজনের চাকরি নিশ্চিত করব। ক্ষতিপূরণ দিতে বলছি CESC কে-ও। আমি CESC-র সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের আন্তরিক সমবেদনার পাশাপাশি এই ক্ষতিপূরণ-ও পরিবারগুলির প্রাপ্য।" একই সঙ্গে তিনি মৃত্যুর যাবতীয় দায় সিইএসসি-এর ঘাড়েই চাপান। যদিও তার পালটা এক্স হ্যান্ডেলে সিইএসসি জানিয়েছে 'স্ট্রিট লাইট পোল, ট্রাফিক লাইটগুলি আমাদের মালিকাধীন নয়, আমরা সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করি না, না সেগুলি আমাদের দ্বারা পরিচালিত'।
আরও পড়ুন-৬.২ মাত্রার শক্তিশালী কম্পনে দুলে উঠল পৃথিবী, চরম আতঙ্কে হুলস্থূল