/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/23/mayor-2025-09-23-12-38-07.jpg)
Heavy Rainfall: একনাগাড়ে চলা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিস্তীর্ণ প্রান্ত।
Kolkata Rains-Firhad Hakim:রেকর্ড বৃষ্টি কলকাতায়! তিলোত্তমা মহানগরীর বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। দিকে দিকে জল। সেই সঙ্গে জমা জলে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে পরপর মৃত্যুর খবর মিলেছে। এক কথায় শারদোৎসব শুরু হতেই কলকাতায় অসুররূপী বৃষ্টিতে সীমাহীন জল-যন্ত্রণা! মঙ্গলবার সকালে চেতলায় নিজের পাড়ায় জমা জল সরাতে দেখা গেল মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। নতুন করে দুর্যোগ না হলে আজ রাত ১০টার মধ্যেই কলকাতার জল নেমে যেতে পারে বলে আশাবাদী মেয়র।
মঙ্গলবার সকালে ছাতা হাতে চেতলায় নিজের পাড়ায় নালার মুখে পরিস্কার করতে দেখা গেল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। জল সরানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
তখনই সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে মেয়র বলেন, "পুরো গঙ্গা টইটুম্বুর হয়ে গেছে। আমি সকালে গিয়ে দেখে এসেছি। ঝাড়খণ্ড থেকে জল এসে ভরে যাচ্ছে। আমাদের ক্যানেলগুলো গঙ্গায় গিয়ে পড়ে। কিন্তু গঙ্গা যদি জল না নিতে পারে ক্যানেলগুলো জলটা ফেলবে কোথায়? ব্যাক ফ্লো হয়ে সেই জল ঢুকে পড়ছে শহরে। উল্টোদিক থেকে জল ঢুকে পড়ছে। খিদিরপুরে আমাদের এত বড় পাম্পিং স্টেশন রয়েছে, কিন্তু তাও জল ব্ল্যাক ফ্লো করে যাচ্ছে।"
কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। শহরের রাজপথ থেকে শুরু করে অলিগলি জলের তলায়। নতুন করে বিরাট দুর্যোগ না এলে আজ রাত ১০টার মধ্যে কলকাতার জমা জল নেমে যেতে পারে বলে আশাবাদী মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তিনি এদিন বলেন, "আজ রাত ১০টার মধ্যে জল নেমে যেতে পারে। আজ সকালে এই বৃষ্টিতে পুরসভার কর্মীরা কাজ করতে পারেননি। আমার ৬৭ বছর বয়স, আমার ৬০ বছরের স্মৃতিতে এমন বৃষ্টি দেখিনি। ১৯৭৮ সালে একটা বড় বৃষ্টি এসেছিল, তখন এই ধরনের পরকাঠামো ছিল না। লোকজনকে নিয়ে গিয়ে স্কুলে-স্কুলে রাখতে হয়। গতকালের বৃষ্টি আমি এর আগে দেখিনি। এই বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করা যায় না। খালগুলো পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু তারও তো একটা সীমা আছে।"