West Bengal Rainfall Update: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই জ্বালাপোড়া গরম থেকে স্বস্তি দিয়ে ঝড়-জল শুরু জেলায়-জেলায়। বুধবার সকাল থেকে শহর কলকাতার পাশাপাশি লাগোয়া একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির জেরে অসহ্য গরমের হাত থেকে সাময়িক মুক্তি মিলেছে। বেশ খানিকটা কমেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ দুই প্রান্তেই এই পরিস্থিতি চলবে আরও বেশ কয়েকদিন। তাপমাত্রারও বিশেষ হেরফের হবে না।
জ্বালাপোড়া গরমে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে নাভিশ্বাস দশা উঠতে শুরু করেছিল দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেরও একাধিক জেলার বাসিন্দাদের। কলকাতাতেও ভ্যাপসা গরমে কাহিল হচ্ছিলেন বাসিন্দারা। তবে এপ্রিলের শেষ পর্বে ঝড়-বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা নেমেছে। অসহনীয় গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও আগামী বেশ কয়েকদিন ঝড়-জলের এই পালা চলবে। আজও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দফায়-দফায় এই বৃষ্টি-পর্ব চলতে পারে। বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট দেখা যেতে পারে। কোনও কোনও জেলায় হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। কয়েকটি জেলায় শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- Kolkata hotel fire live Updtaes: বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের পরেই 'বিষাক্ত ধোঁয়া', দমবন্ধ হয়ে মৃত ১৩, তদন্তে SIT
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঝড়-জলের জেরে আপাতত আগামী দিন পাঁচেক রাজ্যের উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে স্বস্তির পরিবেশ থাকবে। ঝড়-জলের জেরে তাপমাত্রা কমবে।
আরও পড়ুন- Digha Jagannath Temple LIVE:অপেক্ষা মাত্র কয়েক ঘণ্টার, তৈরি হবে নতুন ইতিহাস, মমতার হাতে দিঘায় জগন্নাথ ধামের দ্বারোদঘাটন
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সেই কারণেই বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। বাজ পড়লে গাছের নিচে আশ্রয় নেবেন না, বজ্রপাত গাছের উপর পড়লে বিদ্যুৎ নিচে নেমে আসে। খোলা মাঠ বা জলাশয় থেকেও বজ্রপাতের সময় দূরে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বজ্রপাতের সময় বাইক বা সাইকেল চালানো উচিত নয়। ধাতব বাহনে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে।এই সময়ে ছাতা ব্যবহারও এড়িয়ে চলুন। কারণ ধাতব হ্যান্ডেলবিশিষ্ট ছাতা বজ্রপাত আকর্ষণ করতে পারে। এরই পাশাপাশি একসঙ্গে না দাঁড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ুন।বজ্রপাত হলে মাটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ে। কাছাকাছি থাকলে একাধিক মানুষ আহত হতে পারেন।