/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/cats-2025-08-20-18-48-46.jpg)
স্কুল ব্যাগে প্লাস্টিকে মোড়ানো কেজি কেজি গাঁজা
সীমান্ত কৃষ্ণগঞ্জ বরাবর নদীয়ার পাচারের একটা গুরুত্বপূর্ণ রুট। বারবার এই রুটে ফেন্সিডিল, গাঁজা সোনার বিস্কুট সহ একাধিক পণ্য পাচার হয়। পুলিশের তৎপরতায় একাধিকবার এই রুট থেকেই ধরা পড়ছে পাচারের সামগ্রী। একইসঙ্গে পাচারকারী। তাই পাচারের সামগ্রী গাঁজা প্রায় ৪৫০ কিমি রাস্তা নিরাপদে নিয়ে এসেও পুলিশের তৎপরতায় দুই যুবকের শেষ রক্ষা হলো না। ধরা পড়ে গেল।
দুর্নীতির বিরাট অভিযোগ! উত্তাল মালদা, প্রশাসনের সামনেই হুলস্থূল
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম গৌতম অধিকারী ও রহিম চৌধুরী। ধৃতদের বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়ায়। তাদের কাছ থেকে ২১ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।এদিন দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কৃষ্ণনগর পিডির ডিএসপি শিল্পী পাল, ভীমপুর থানার ওসি তাপস ঘোষরা।
ওড়িশার কেওনঝাড় থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ১০ কিমি আগে দুই যুবক লক্ষাধিক টাকার গাঁজা সহ ধরা পড়ে গেল। শেষ মুহূর্তে পুলিশের কাছে সোর্স মারফৎ আসা খবরে বুধবার দুপুরে ভীমপুর থানার খামারপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়।
কৃষ্ণনগর থেকে মাজদিয়ার দিকে আসা একটি বাসে করে দুই যুবক প্রচুর গাঁজা আনছে এই খবর পেয়ে পুলিশ বাসটিকে ঘিরে ফেলে। তখনই খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দুই যুবকের চারটি স্কুল ব্যাগ থেকে ২১ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। একইসঙ্গে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে বলে জানাগিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওড়িশার কেওনঝাড় থেকে দুই যুবক গাঁজা বোঝাই ব্যাগ নিয়ে বাসে চেপে কলকাতার ধর্মতলায় আসে। সেখান থেকে কৃষ্ণনগরের পাল পাল পাড়ায় নামে এই দুই যুবক। পরে তারা টোটো করে কৃষ্ণনগর বাদুড়তলায় নামে। ফের বাসে চেপে মাজদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শেষ মুহূর্তে পুলিশ সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে ভীমপুর থানার খামারপাড়া এলাকা থেকে বাসটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালিয়ে এই দুই যুবককে ধরে ফেলে।
তাদের কাছে চারটি স্কুল ব্যাগ ছিল। এই চারটি ব্যাগে মোট কুড়িটি প্লাস্টিক মোড়ানো গাঁজার প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। মোট এই প্যাকেটগুলি থেকে ২১ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য লক্ষ টাকার বেশি বলে জানা গিয়েছে।