/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/11/images-17-2025-07-11-20-00-50.jpeg)
'চেয়ারম্যানকে সরান', তৃণমূলের পুরসভায় কাউন্সিলরদের আর্জিতে শোরগোল
Krishnanagar Municipality: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাল। চেয়ারম্যান রীতা দাসের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন তৃণমূলের ১৩ জন কাউন্সিলর সহ মোট ১৫ জন। তাঁদের অভিযোগ, আগেই অনাস্থা আনা হলেও চেয়ারম্যান কোনও মিটিং ডাকেননি। তাই এবার ভাইস চেয়ারম্যান নরেশ দাসের কাছে ৭ দিনের মধ্যে সভা ডাকার অনুরোধ জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন তাঁরা।
প্রশাসনিক মহলেও পৌঁছে গিয়েছে এই চিঠির কপি। সদরমহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি অনাস্থার এই চিঠি পেয়েছেন। এই ঘটনার জেরে পুরসভায় অচলাবস্থা চরমে পৌঁছেছে। শহরের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে পড়েছে। সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তিও বেড়েছে।
২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ জন কাউন্সিলর স্বাক্ষর করেন অনাস্থায়
তৃণমূলের ১৩ জন, কংগ্রেসের শান্তশ্রী সাহা (১৪ নম্বর ওয়ার্ড) ও নির্দল কাউন্সিলর অসিত সাহা—এই ১৫ জন একযোগে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন। কৃষ্ণনগর পুরসভার মোট ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে একজন প্রয়াত হওয়ায় বর্তমানে সংখ্যাটি ২৪।
অনাস্থা প্রস্তাবের পিছনে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে—
বাজেট পেশ না করা
সিআইসি বৈঠক এড়িয়ে একতরফা টেন্ডার পাশ
পিচের ড্রাম নিয়ে আর্থিক অনিয়ম
এই সব অভিযোগ নিয়েই সম্প্রতি একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ, পুলিশ সুপার অমরনাথ কে, মহকুমাশাসক শারদ্বতী চৌধুরী সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পরিষেবা ভেঙে পড়েছে, অভিযোগ কংগ্রেস কাউন্সিলরের
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর শান্তশ্রী সাহা বলেন, "বর্ষার মরসুমে কৃষ্ণনগরের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় চেয়ারম্যান যদি কোনও মিটিং না ডাকেন, তাহলে আমরা উন্নয়নের স্বার্থে বাধ্য হয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছি।"
তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র আগেই জানিয়েছিলেন, বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্ব দেখছে।
কীভাবে সামনে আসতে পারে পরবর্তী পদক্ষেপ?
চেয়ারম্যান যদি এখনও সভা না ডাকেন, তবে পুরসভার আইন অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যান সভা ডাকতে পারেন। সেই মতোই এবার ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ করেছেন ১৪ জন কাউন্সিলর।