Policemen arrange food and water for birds on tree branches: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই পুলিশের প্রধান কাজ। কিন্তু তার বাইরেও মানবিক দায়িত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার পুলিশকর্মীরা। শুধু মানুষের সুরক্ষাই নয়, এবার প্রকৃতি ও প্রাণীদের প্রতিও তাঁরা বাড়িয়ে দিয়েছেন সহানুভূতির হাত। সুন্দরবনের অদূরে অবস্থিত এই থানার চারপাশে রয়েছে অসংখ্য গাছ। এই গাছগুলিকে ঘিরেই শুরু হয়েছে এক অভূতপূর্ব উদ্যোগ। গাছের ডালে ডালে বাসা বেঁধেছে অসংখ্য পাখি। আর এই উড়ন্ত অতিথিদের যত্ন নিতে থানার পুলিশকর্মীরা হয়েছেন তাঁদের প্রকৃত বন্ধু।
কুলতলি থানার ওসি ফারুক রহমান বরাবরই পরিচিত পশুপ্রেমী হিসেবে। এই প্রচণ্ড গরমে যাতে পাখিরা কষ্ট না পায়, তাই থানা চত্বরে থাকা গাছগুলিতে খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা করেন তিনিই। গাছের ডালে বাঁধা হয় খাবার ও জলের পাত্র। প্রথমদিকে এটি ছিল একক উদ্যোগ, কিন্তু ধীরে ধীরে থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও এতে সামিল হন। এখন নিয়মিতভাবে থানা চত্বরের গাছগুলিতে রাখা হচ্ছে খাবার ও জল। পাখিরাও যেন এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে কার্পণ্য করছে না। থানার চারপাশ এখন মুখরিত পাখির কলকাকলিতে।
কুলতলি থানা মোড়ে এলেই এখন শোনা যায় নানা প্রজাতির পাখির মিষ্টি ডাক। স্থানীয় বাসিন্দারাও বেশ খুশি এই উদ্যোগে। সাধারণত থানার পরিবেশ নিয়ে অনেকের মনে একরকম ভয় কাজ করে, কিন্তু কুলতলি থানায় ঢুকলেই এখন পাওয়া যায় এক অন্যরকম অনুভূতি—একটি সবুজ ও প্রাণবন্ত পরিবেশ।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee-Sunita Williams: মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন মমতা, জানালেন নিজেই, সুনীতা উইলিয়ামসকে নিয়ে বিরাট দাবি
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তাঁরা ভাবতেও পারেননি যে থানার মতো জায়গায় এমন সুন্দর উদ্যোগ নেওয়া হবে। ওই ব্যক্তি বলেন, "এটি শুধু পাখিদের জন্য ভালো হয়নি, আমাদের মনও ভালো হয়ে যায় এখানে এসে। পুলিশের কাজ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নয়, মানবিকতার পরিচয় দেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কুলতলি থানার পুলিশ কর্মীরা সেটাই করে দেখিয়েছেন। জীবসেবার এই ছোট প্রচেষ্টাই বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, শুধু মানুষের জন্য নয়, প্রকৃতির প্রতিও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। যদি সবাই এগিয়ে আসে, তবে পৃথিবী হয়ে উঠবে আরও সুন্দর, আরও মানবিক।"
আরও পড়ুন- HS Result 2025: উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ নিয়ে বড় ঘোষণা, কী জানালেন সংসদ সভাপতি?