/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/21/cats-2025-09-21-10-49-54.jpg)
বিধানসভা ভোটের আগেই খেলা ঘোরালো TMC, বিরোধী জোটের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে শক্তি বাড়ালো শাসক শিবির
বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে দলবদল থেমে নেই। বামনেতারাও তৃণমূলে যোগ দিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বিরোধী শিবিরে বড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার বিকেলে কুলতলিতে এক যোগদান সভায় একঝাঁক বিরোধী নেতা–কর্মী হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেয়। ওই তালিকায় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আছেন এসইউসিআই নেতা সুধীর হালদার ও সিপিএম নেতা রমনীরঞ্জন দাস।
যোগদান করে কেউ বলছেন মানুষের জন্য কাজ করতে চান, কেউ বলছেন সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুধীরবাবু জানান, মানুষের পাশে থাকতে চাইলে আজ তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র ভরসা। বামনেতা রমনীরঞ্জন দাস দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কংগ্রেস থেকে শুরু করে সিপিএম হয়ে লড়াই করেছেন। ১৯৯০ সালে সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে কুলতলি বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ স্তরেও গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি কাজ করেছেন। এবার মানুষের মতামত নিয়েই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতা রমনীরঞ্জন দাস।
এদিন গোপালগঞ্জ অঞ্চল থেকে বিরোধী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা, কর্মী এবং সমর্থক মিলিয়ে প্রায় এক হাজার জন তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করেন কুলতলির বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডল। তার কথায়, “এটা প্রমাণ করে মানুষের আস্থা কেবল তৃণমূলের ওপরেই রয়েছে।”
যদিও এই যোগদানকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সিপিএম কুলতলি এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডল বলেন, “এরা একসময় তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছিলেন আবার দলে ফিরে আসছে। তৃণমূলই বিজেপিকে শক্তিশালী করেছে। জনগণ কিন্তু একজোট, তারা কোথাও যাবে না। ২৬-এ পরাজয় নিশ্চিত জেনেই এইসব নাটক করছে তৃণমূল।” তৃণমূলের দাবি এই যোগদান সভা নিঃসন্দেহে ভোটের আগে সংগঠনগত শক্তি বাড়াবে।