/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/28/mamata-banerjee-2025-07-28-16-13-44.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে মা সারদা বলে আখ্যায়িত করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। এবার তুলনা চলল মা দুর্গা, মা লক্ষ্মীর সঙ্গে। একই সঙ্গে বিরোধীদের প্রতি কটাক্ষ করা হল ডাকিনী, যোগিনী ও পিশাচ সম্বোধন করে। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিরোধীরা।
কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চানন তলা হাই স্কুলের মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের বহু তৃণমূল নেতা ও কর্মী উপস্থিত থাকেন। দলের রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে কুণাল ঘোষ কাটোয়ার এই বিজয়া সম্মিলনীর অনু্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই মঞ্চেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলনা টানেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। পাশাপাশি গানের মাধ্যমে বিরোধীদের ডাকিনী, যোগিনী ও পিশাচ সম্বোধন করেন। কেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মা দুর্গা ও মা লক্ষ্মীর তুলনা টেনেছেন, ফের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়ে দেন। কুণাল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নানারকম তুলনা করা যায়। মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করা যায়, মা লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলনা করা যায়। উন্নয়ন, সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি ও শান্তির প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হিসাবেই তুলনা করা হয়েছে।” এর আগে মঞ্চে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, “ গায়ের বধূর শাঁখের ডাকে যিনি আসেন তিনি মা লক্ষ্মী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ডাকিনী, যোগিনী ও পিশাচ হল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস।” মঞ্চে এই সুরে গানও ধরেছিলেন কুণাল।
দুর্গাপুজো শেষ হতেই জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে বাংলার জেলায়, জেলায় ও ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান পালন শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কুণাল ফের ঘোষণা করেন, “এই বিজয়া সম্মিলনী আসলে আগামী বিজয় উৎসবের ভিত্তি স্থাপন করছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আড়াইশোর বেশী আসন নিয়ে তৃণমূল ফের বাংলার ক্ষমতায় আসবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। পূর্ব বর্ধমানের ১৬টির মধ্যে ১৬ আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। এবার বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।”
আরও পড়ুন-ফের ভয়ঙ্কর মহামারির আঘাত! আক্রান্ত হাজার হাজার, শতাধিক স্কুল বন্ধের ঘোষণা, চরম আতঙ্ক
এদিকে বিরোধীরা কুণালের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণ করেছে। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যকে পাগলেও মূল্য দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন। জেলা বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “বাংলার মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে বুঝে গিয়েছেন যে তৃণমূল আসলে চোরেদের দল। চুরি,দুর্নীতি তৃণমূল কংগ্রেস দলের মূল ভিত্তি। চাকরি চুরি থেকে শুরু করে কয়লা, বালি,পাথর চুরির দায়ে তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীরা জেল খেটেছেন। এখনও ওদের অনেকে জেলে আছেন। আর যনি এদিন রাজ্যের বিরোধী দলকে ডাকিনি,যোগিনী ও পিশাচ বলছেন,তিনিও জেল খাটা তৃণমূল নেতা। কাজেই ওই নেতার কোনও বক্তব্যের কোন মূল্য পাগলেও দেয় না।” অন্যদিকে জেলা সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষ বলেন,“দেব-দেবীরা চুরিতে মদত দেন না, চোরেদের সঙ্গেও থাকেন না। চোরেরা তাদের দলনেত্রীকে যেভাবে দেবী দুর্গা বা দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে তলনা করছেন তার যোগ্য জবাব বাংলায় মানুষ ২০২৬ -এর বিধানসভা ভোটে দিয়ে দেবে।”