Lagnajita Chakraborty was invited to the New Years function in Kolkata but left out: কলকাতার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করতে ডাক পেয়েছিলেন প্রখ্যাত শিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী (Lagnajita Chakraborty)। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়লেন শিল্পী। লগ্নজিতার এভাবে অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়ার পেছনে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রভাব দেখছে রাজনৈতিক মহল! আরজি কর (RG Kar) কাণ্ড নিয়ে পথে নামায় সম্প্রতি রাজ্যের শিল্পী মহলের একাংশের কড়া সমালোচনায় সোচ্চার হন কুণাল ঘোষ। এমনকী আরজি করের প্রতিবাদে পথে নামা শিল্পীদের বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। ঠিক এই পরিস্থিতিতে এবার গানের অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েও লগ্নজিতার এভাবে বাদ পড়ার বিষয়টিতে কুণাল ঘোষের সেই মন্তব্যের প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয় গোটা বাংলা। প্রতিবাদে পথে নামেন সিনেমা, গান, নাটক, সাহিত্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের একাংশ। আরজি কর ইস্যুতে শাসকদল তৃণমূল-সহ সরকার বিরোধিতায় সরব হতে দেখা যায় একের পর এক শিল্পীকে। সম্প্রতি বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের সেই অংশটিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে। তৃণমূল নেতাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করা তথা সরকারের বিরোধিতা করা শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ।
এবার কলকাতায় এক তৃণমূলের কাউন্সিলের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে গান গাইতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে। লগ্নজিতাও মাসখানেক আগে আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। আরজি কর ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারের বিরোধিতা করে তিনি সুর চড়িয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অনেকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে লগ্নজিতাকে এই অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি বর্ষবরণের দিনে রীতিমতো চর্চায়।
আরও পড়ুন- Sandeshkhali: গতকাল মমতা সভা করেছেন, আজ সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর সভায় 'না' পুলিশের
তবে বর্ষবরণের দিনেও কুণাল ঘোষ আরও একটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, "বিভ্রান্তি রাখবেন না। আবার বলছি। 1) RGKar এর জঘন্য ঘটনার আমরা সবাই প্রতিবাদী। যাঁরা মিছিল, সভা করেছেন, করতেই পারেন। 2) বিরোধী দল তাদের কাজ করবে। করতেই পারে। 3) নাগরিকরা উদ্বেগ জানাবেন। জানাতেই পারেন। শিল্পীরাও প্রতিবাদী মিছিলে হাঁটতেই পারেন। কিন্তু যে শিল্পীরা পরিকল্পিত কুৎসা করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীসহ সরকার ও দলকে জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন, সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন, তৃণমূল সমর্থকদের কুৎসিত ভাষায় অপমান করেছেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্ররোচনা ছড়িয়েছেন, তাঁদের এই শীতের মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের আয়োজিত জলসা বা অনুষ্ঠানে যেন মঞ্চে না দেখা যায়। এই শীতে এঁদের বয়কট করা হোক। কোনো তৃণমূল নেতার কোনো বিভ্রান্তি থাকলে উচ্চতর নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে নিন। কর্মী সমর্থকদের আবেগকে সম্মান দিন।"
আরও পড়ুন- Sikkim: নতুন বছরের শুরুতেই বিরাট দুঃসংবাদ! পর্যটকদের জন্য বন্ধ সিকিমের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই কেন্দ্র