Local residents demand repair of dilapidated wooden bridge: কাঠের সেতু ঠিক যেন মরণফাঁদ! দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এই সেতুর বেহাল দশা নিয়ে বারবার প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েছেন স্থানীয়রা। তবে অভিযোগ, সুরাহা মেলেনি। কাঠের সেতু আর পাকা হয়নি। বাধ্য হয়েই এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন সেই ঝঁকির পারাপারা এলাকার বাসিন্দাদের। জরাজীর্ণ এই কাঠের সেতু নিয়ে ঘোর বিপাকে পড়েছে এলাকার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। ঝুঁকিবহুল সেতু পেরনোয় যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ভয়ে অনেক ছাত্রছাত্রীই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বৃন্দাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত। এখানেই জয়াতলা এলাকায় উত্তরভাগ খালের উপর কাঠের সেতুর যেন মরণফাঁদ। সেতুর মাঝে জায়গায় জায়গায় কাঠের পাটাতন ভেঙে পড়ে গিয়েছে খালের জলে। নড়বড়ে কাঠের সেতুর উপর কোথাও কাঠের টুকরো আবার কোথাও বাঁশ দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার উপর দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষজন। একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এই সেতুতে, তাতেও সেতু সঠিকভাবে সরাই হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সেতুর উপর দিয়ে সাইকেল নিয়ে গেলেও নীচে পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক থাকে এলাকাবাসীর।
উত্তরভাগ খালের উপর সংযোগকারী সেতু একদিকে রয়েছে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা আর অপর প্রান্তে রয়েছে বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা। বারুইপুরের দিকে রয়েছে জয়াতলা বাজার ও স্কুল। নিত্যদিন ক্যানিং পূর্বের ডেভিস আবাদ, তেঁতুলবেড়িয়া, দাঁড়িয়া গ্রামের মানুষজন জয়াতলার বাজারে আসেন। স্থানীয় জয়াতলা হাই স্কুলে আসে পড়ুয়ারাও। এই সেতু না থাকলে প্রায় ৮ কিমি রাস্তা ঘুর পথে আসতে হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুলে বাচ্চারা সেতু থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়ে স্কুলে আসছে না। সন্ধ্যার পর বড় ছোট কেউ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে না।
আরও পড়ুন- River Erosion: আচমকা ভাঙন গঙ্গার পাড়ে, চোখের নিমেষে নদীগর্ভে পরপর দোকান-বাড়ি!
আরও পড়ুন- Eastern Railway: মসৃণ পরিষেবায় দুরন্ত তৎপরতা রেলের, যাত্রী স্বার্থে এবার আরও কঠিন পদক্ষেপ
বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কানন দাস জানান, তাঁদের কাছে এমন কোনও অভিযোগ কেউ করেননি। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছেই প্রথম এই অভিযোগ তিনি শুনেছেন। সেতু মেরামতির ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বারুইপুরের BDO সৌরভ মাঝি জানান, সেতুটির বেহাল দশা। সেচ দফতরকে চিঠি দিয়ে সেতুটির সংস্কারের ব্যবস্থা তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন।